২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

হিজলায় সামাজিক বনের সরকারি গাছ সাবার-নিরব প্রশাসন

আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২১

সাইফুল ইসলাম,হিজলা:: হিজলায় সরকারি বনের গাছ কেটে সাবার। বন কর্মকর্তানিশ্চুপ- সামাজিক বনের গাছ উজার। পকেট ভারি অসাধু কর্তাদের। বরিশালের হিজলা উপজেলার সামাজিক বন বিভাগের বন সাবার। যত্রতত্র গাছ কাটা হলেও বন বর্কৃপক্ষ নিশ্চুপ। কোথাও তাদের উপস্থিতিতে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সুবিধা ভোগিরা।


করনা মহামারিকে সামনে রেখে বন বিভাগ বানিজ্য উন্মুক্ত করেছে, বন নিয়ে উদাসীন বন কর্মকর্তা। ফলে লাভবান হচ্ছে বন নিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট গাছ চোরেরা। কুফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। পরিবেশ হারাচ্ছে পরিবেশের ভারসম্য।
বর্তমানে অফিস আদালত বন্ধ। এ সুযোগে অসাধু বন কর্মকর্তাগন সামাজিক বাগান থেকে কেটে নিচ্ছে শত শত গাছ। অভিযোগ দিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এমন অভিযোগ উপকারভোগীদের। খোদ উপজেলা পরিষদের মধ্যে সরকারি গাছ কেটে ব্যাক্তির স্বার্থকে পাধান্য দিচ্ছেন বন কর্মকর্তা।
গেল এক সপ্তাহে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন বন থেকে উজার হচ্ছে গাছ। উপজেলার প্রশাসনের কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে জনৈক ব্যাক্তিকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে গাছ কেটে দিচ্ছেন বন কর্মকর্তা এবং মালি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


উপজেলার ডিসি বোর্ডের অপর একটি বাগান থেকে কয়েক শত শারি শারি মেহগিনি চাম্বল গাছ কেটে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র। উপজেলার দক্ষিণ বাউশিয়ার সামাজিক বন থেকে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় কাঞ্চন শিকদার বনবিভাগের সহায়তায় নিম, একাশি মেহগিনি, চাম্বল বিভিন্নপ্রজাতির বেশ কিছু গাছ কেটে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ইট ভাটার মিলে চেরাই করে গায়েব করে দিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকার গাছ।
বিষয়টি সামাজিক বনবিভাগের কর্মকর্তা শাহআলম এর সাথে আলাপ কালে জানান মালিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মিলের দায়িত্বে থাকা মালেক এবং ইটভাটার সরদার আঃ ছামাদ জানান, বন বিভাগের মহসিন নামের এক ব্যাক্তি ও কাঞ্চন শিকদার গাছগুলো রেখে গেছে। বেশ কিছু গাছ চেরাই করে নিয়ে গেছেন তারা। তবে অদৃশ্য কারণে গাছগুলো আটক করেনি বন বিভাগ।
দক্ষিণ বাউশিয়া সামাজিক বনের সদস্য শহিদ হাওলাদার, দুলাল বেপারী, সেলিম শিকদার, জাহাঙ্গীর ফকির, সেলিম সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান- বেশ কিছু দিন যাবত হিজলা বনবিভাগ রাস্তা থেকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে এমন বিষয় জানতে চাইলে বন কর্মকর্তা শাহআলম এবং বনের অপর কর্মচরি মহসিন তাদের কোন পাত্তা দেননি।
বনকর্মকর্তা শাহআলম জানান, তিনি অবগত হয়েছেন। গাছগুলো আটক করার জন্য মহসিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

120 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন