উজিরপুর(বরিশাল) প্রতিনিধিঃঃ ভয়ভীতি দেখিয়ে উৎকোচ আদায় সহ নানা অপকর্মের মুল হেতা বরিশাল জেলার উজিরপুর মডেল থানার বির্তকিত এস আই মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ৬ ইউপি সদেস্য সহ ২০জন গ্রামবাসীর দেয়া অভিযোগের পরও তিনি উজিরপুর থানা য়বহাল তবিয়াতে রয়েছেন। উজিরপুর মডেল থানায় উল্টে হুকাংর দিচ্ছেন পত্রিকায় লিখলে কি হয়? প্রায় দীর্ঘ ২ বছর ধরে উজিরপুর মডেল থানায় কর্মস্থল হওয়া এস আই মেহেদী একের পর এক অপর্কর্ম করেও পার পেয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এস আই মেহেদীর খুটির জোড় কোথায়। উজিরপুর থানার বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে হাজারো মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে এস আই মেহেদীর বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের প্রবাস ফেরত জসিম হাওলাদার মুঠেফোনে জানিয়েছেন, ১০-১২ দিন আগে এস আই মেহেদী হাসান সাদা পোশাকে তার বাড়িতে হানা দিয়ে গালি গালাজ শুরু করেন। তিনি কোন মামলার আসামী না হলেও তার নামে থানায় লিষ্ট রয়েছে সে বিএনপি করেন তাকে থানার দায়ের কৃত নাশকাতার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ভয় দিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন ।মামলার আসামী না হয়েও মেহেদীর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তাকে নগদ অর্থ গুনতে হয়েছে তাকে নাম প্রকাশে অনিচ্চুক একাধিক ব্যাক্তি সাংবাদিদের বলেন এস আই মেহেদী উজিরপুরে যোগদানের পর বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পুলিশের সুনাম নষ্ট করার পরও তিনি উজিরপুর থানায় দাপটের সাথে চাকুরি করায় নিরহ মানুষ জনমনে নানা আতংক বিরাজ করছে। হস্তিুসুন্ড গ্রামের শামসুল হক মোল্লার পুত্র স্থানীয় যুবলীগ নেতা জায়দুল ইসলাম মিঠু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ,উজিরপুর মডেল থানার এস আই মেহেদী হাসান প্রায় ২ বছর ধরে উজিরপুর মডেল থানায় চাকুরির করার সুবাদে বামরাইল ইউনিয়নের বিট আফিসারের দায়িত্ব পালন করা কালে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িয়ে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করেন। তার চাচাতো ভাই’র সাথে স্থানীয় আজিমের ছেলের সাথে মারামারির ঘটনায় তাকে আসামী করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেন এস আই মেহেদী এছাড়াও তাকে বিভিন্ন সময় গালিগালাজও করেন। এস আই মেহেদীর রুক্ষ আচারনের সিকার হওয়া বেশ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদেস্যার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো। এদিকে সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট সাক্ষ্য দিতে আসা বামরাইল ইউপি সদেস্য মাইনুল ইসলাম তালুকদার বলেন আমি এস আই মেহেদীর অপকর্ম সম্পর্কে যা জানি তা লিখিত ভাবে সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট জানিয়েছি তিনি স্থানীয় মানুষের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছেন এটা নিশ্চিত সাংবাদিকদের কাছে বেশী কিছু বলতে রাজি নয়।হস্তিসুন্ড গ্রামের আর্শেদ আলীর পুত্র সাবেক সেনা সদেস্য মো: সেলিম হাওলাদার বলেন, তার বাড়ির পাশে মৃত বাবুল মোল্লার মেয়ের সাথে গরিয়াগাভা গ্রামের রিদয় নামক এক যুবকের প্রেমের সুবাধে বিয়ের আলাপ আলোচনা হলে সেখানে উপস্তিত হয় এস আই মেহেদী তার উপস্তিতিতে ছেলে মেয়ের বিয়ে সম্পান্ন করতে চাইলে ওই বিয়ের ঘটনায় ২০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন এস আই মেহেদী তখন উপস্তিত সাবেক সেনা সদেস্য মো: সেলিম তাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে ওই টাকায় এস আই মেহেদীর মন না ভরলে প্রেমিক যুবক রিদয়কে মটর বাইকে করে থানায় নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন ২০ হাজার টাকার বিনেময় তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।এ ছাড়াও সাবেক সেনা সদেস্যকে মটরসাইকেলের পিছনেবেধে টানতে টানতে থানায় নিয়ে যাওয়া হুমকি দিয়ে গালিগালাজ করেন বলে তিনি ১৭ ডিসেম্বর সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত ভাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। উজিরপুর মডেল থানার এস আই মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে বেশ কযেকজন ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে জবান বন্দি দিয়েছেন তাবে কি দিয়েছেন তা তদন্তর স্বার্থে বলতে রাজি নয় সহকারী পুলিশ সুপার মাজাহারুল ইসলাম।অভিুযুক্ত উজিরপুর থানার এস আই মেহেদী হাসানকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিপ করেননি। উল্লেখ্য উজিরপুর থানার বামরাইল ইউনিয়নের ৬ জন ইউপি সদেস্য সহ ২০জন ব্যাক্তি এস আই মেহেদীর অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির নিকট লিখিত আবেদন করলে ওই আবেদনের আলোকে সহকারী পুলিশ সুপার উজিরপুর সার্কেল স্মারক নং১৯/আর. তাং৩-১২-২৩ নির্দেশ মোতাবেক ১৭ জন হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী সাধারন মানুষের সাথে রুক্ষ আচারন নিরহ মানুষকে হয়রানী সহ নানা অভিযোগে লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছেন।