বিজয় নিউজ ঃঃবরিশালে টানা পাঁচ দিন ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা কমে সোমবার সকালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এর ফলে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে বরিশালসহ দখিনের জনজীবন। কর্মব্যস্ত নগরজীবনও থমকে দাড়িয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। ফলে নগরীতে নিত্যদিনের যানজটও তেমন ছিলো না। আর শহর ও গ্রামে তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে সবথেকে বেশি বিপাকে। পেটের দায়ে কাজে নামতে হচ্ছে তাদের। যদিও ফুটপাতসহ বিপণী বিতানগুলোতেও শীতের পোশাক বিক্রির চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। তবে ৩ দিন পর সোমবার দুপুরে সূর্যের দেখা মেলায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের প্রধান বশির আহমেদ জানান, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিলো এই মৌসুমে বরিশালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সোমবার সকালে সূর্যের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে রবিবার সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০.৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস, শনিবার ছিলো ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষায় গত দুই দিনে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা এবং নদী বন্দর এলাকার ছিন্নমূল মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ও এবং জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।