২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

বাকেরগঞ্জে অধ্যক্ষসহ তিন পদে একই পরিবারের তিনজন কে নিয়োগের অভিযোগ

আপডেট: মে ১৩, ২০২৪

(বাকেরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের খোদাবক্সকাঠী নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসায় একই পরিবারের তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি নিয়োগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও আয়া পদে এই তিনজনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। তারা হলেন মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানের আপন ছোট ভাইয়ের পুত্রবধূ ও ভাগনে। অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলা দিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মনির সন্যামত।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন বাকেরগঞ্জের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব) আব্দুল হাফিজ মল্লিক।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টি তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম-দুর্নীতি কারণে গত বছর ১০ অক্টোবর মাদ্রাসার কমিটি থেকে অন্য ১০ সদস্য পদত্যাগ করেন। পাশাপাশি কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করা হয়।

১৩ মে অবৈধভাবে নিয়োগের বিষয় জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনির হোসেন সন্যামত বলেন, নিয়োগে তিন প্রার্থী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আত্মীয় হওয়ায় আমরা তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্যজনকে ১ ঘন্টার জন্য দায়িত্ব দেই। এর পর তিনজনই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সবার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হন। এখানে কোনো টাকা আমি নেইনি। তা ছাড়া আধিপত্য বিস্তার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও সত্য নয়।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার সভাপতি মনির সন্যামত এককভাবে ম্যানেজিং কমিটির সব সদস্যের সই জাল করে অবৈধভাবে মাদ্রাসার নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি চিঠির পরিপ্রক্ষিতে তদন্ত চলমান ।

 

107 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন