আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
আপডেট:
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঃ প্রভাবশালী সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপে আওয়ামী লীগপন্থী চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাইর অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার বদলির আদেশ স্থগিত হয়েছে বলে এলজিইডি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এই স্থগিতাদেশকে কেন্দ্র করে এলজিইডি ভবনে প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী ও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তাঁর ছেলের আস্থাভাজন ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় কমিশন বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।আওয়ামী ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশ করে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হওয়া সত্বেও আওয়ামী ও সাবেক মন্ত্রী মোশারফ হোসেন পন্থী ঠিকাদরদের বিল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিগত সরকারের আমলে রনি সাহার সহযোগীতা কাজ না করে বিল প্রদানের অভিযোগ আছে । এছাড়া নিম্নমানের কাজ হওয়া সত্বেও রনি সাহা তৎকালীন ঠিকাদারদের কোটি কোটি টাকার বিল দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও একই ধরনের প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে পূর্বের মতো নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করা সত্ত্বেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল দিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি সহ অনৈতিক অভিযোগের কারণে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্য্যালয় হতে দুই বার তাঁকে অন্যত্র বদলী করলেও সে প্রভাবশালী মহলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এক ব্যক্তির তদবিরের মাধ্যমে তার বদলীর আদেশ দুই বারই স্হগিত করে পূনরায় মিরসরাই উপজেলায় থেকে যাওয়ার বিষয়টি এলজিইডি সূত্রে থেকে জানা গেছে।স্হানীয় অনেক ঠিকাদারদের মতে আওয়ামীলীগের ঠিকাদরদের সাথে রনি সাহার ঠিকাদারী কাজের পার্টনারশীপে ব্যবসা আছে বলেই এই উপজেলা থেকে তিনি অন্যত্র যেতে অনিচ্ছুক। এখন জনমনে প্রশ্নের উঠেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার নতুন স্বপ্ন দেখছে। প্রকৃতপক্ষে কি এই বৈষম্যের দূর হবে? এই প্রশ্ন সর্বসাধারণের।এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার বক্তব্য নেয়ার জন্য মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।