স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ আমার দেশ পাঠক মেলার উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়। সমাবেশ শেষে নগরীতে মেঘনা গ্রুপের পণ্য বয়কটের আহ্বানে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
এসময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. মাহমুদুর রহমানসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান হয়। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসর মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রুখতে এ মামলা করেছেন বলে জানান বক্তারা।
বরিশাল আমার দেশ পাঠক মেলার বরিশাল জেলা শাখার আহবয়ক ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ আলাউদ্দীনের সঞ্চালনায় সমাবেশ হয়েছে। এতে বক্তৃতা রাখেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল আমীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান পিন্টু, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, বরিশাল প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ সুখেন্দু এদবর, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বরিশাল অফিসের স্টাফ রিপোর্টার নিকুঞ্জ বালা পলাশ, পাঠক মেলার জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান হিরা, বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সাধারই সম্পাদক শাহীন হাসান, দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধান শাহিন হফিজ, বরিশাল দক্ষিই জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারই সম্পাদক মাইনুল ইসলাম শিহাব, বরিশাল ফটোসাংবাদিক পরিষদের আহ্বায়ক খান মনিরুজ্জামান, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি রেজাউল করিম রনি, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের দুর্নীতি-অপকর্ম তুলে ধরার কারণে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারাদেশে ১৩৬ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ কারণে অতীতে মাহমুদুর রহমানকে আদালতের বারান্দায় ছুটতে হয়েছে। মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে গেলে সেখানেই তার উপর হামলা করে নির্মমভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। এরপরও তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি। আওয়ামী স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখন সরকারের বিভিন্ন দপ্তর বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের অপকর্মের ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এ ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় না আনলে স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করা অসম্ভব বলে জানান বক্তারা।