আপডেট: আগস্ট ২৫, ২০২৫
বিজয় নিউজ :: বরিশালের হিজলায় যৌথ অভিযানে কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীর ঘর থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার ২৪ আগস্ট রাতে অভিযান পরিচালনা করে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস সিকদার,উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ আলম, কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশের যৌথ যৌথ টিম।
হিজলা উপজেলার পুরান হিজলা বাজারের অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রেতা আবুল কালাম মুন্সির বড় জালিয়া ইউনিয়নের খুলনা গোবিন্দপুর গ্রামের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড হিজলা ও হিজলা নৌ পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান কালে কালাম মুন্সির পুত্র ইসমাইল মুন্সী উপস্থিত ছিল।
অভিযানে প্রায় ৮৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে জব্দ করা জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন হিজলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইলিয়াস সিকদার। এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম, কোস্ট গার্ড হিজলার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ আমজাদ হোসেন এবং হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সঞ্জীব দাস সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে অবৈধ জাল ব্যবহার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২০২৪ সালে একই ব্যক্তির বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করেছিল সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। তবে ওইবারেও অজ্ঞাত কারণে মামলা থেকে রক্ষা পান তিনি।
এর আগে সাবেক ইউ এন ও কানিজ ফাতেমা তানিয়া কালামের হিজলা বাজারের গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেন। সাবেক ইয়োনো বকুল চন্দ্র কবিরাজের সময় কালাম মুন্সির বাড়ি থেকে বিপুল পরিনাম কারেন্ট জাল আটক করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলায় তাকে জনসমক্ষে অবৈধ ব্যবসা না করার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়। পুরনো অবৈধ ব্যবসা এখনো দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে অবৈধ কারবার, তার সমস্ত শরীরে বহমান। পুত্র ইসমাইল হোসেন একই ব্যবসায় জড়িত। কালামের অবৈধ ব্যবসা থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি চায় স্থানীয় হিজলা বাসি। বরং তামাশার অভিযান যেন না হয়,এমনটাই দাবি উপজেলা বাসির।