২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

পাওনা টাকার দ্বন্ধ নিয়ে মসজিদের ইমামের গলা কেটে হত্যা করল অপর মসজিদের ইমাম !

আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০১৯

সোনারগাঁয়ের মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নির্মমভাবে হত্যা করে তারই এক বন্ধু অপর একটি মসজিদের ইমাম। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার ওয়াহিদুজ্জামান মাদারীপুর শিবচর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম। খুলনার নড়াইল জেলার কলাবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক টুকু শেখের ছেলে সে। এর আগে ২২ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইমাম দিদারুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা ধার নেন তার বন্ধু ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তার পাওনা টাকা চেয়ে আসছিলেন মাদারীপুর শিবচর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম বন্ধু ওয়াহিদের কাছে। কিন্তু এতে করে নানা টালবাহান শুরু করে ওয়াহিদ। এবং পাওনা টাকা যাতে দিতে না হয় সে লক্ষ্যে হত্যার পরিকল্পনাও করেন তিনি।

সূত্র জানায়, ঘাত ওয়াহিদ নির্মম ভাবে দিদারুলকে হত্যার পর তার ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে ঘাতক তার রক্তমাখা লুঙ্গি ও দুটি কোকের বোতল মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়।

দিদারুল ইসলাম হত্যার পরের দিন ২৩ আগস্ট নিহত ইমাম দিদারুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকান্ডটি ক্ললেস থাকায় রহস্য উদঘাটনে হিমশিম খাচ্ছিলো পুলিশ।
তবে, পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নির্দেশে এই ক্লুলেস মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামনকে চিহ্নিত করে আটক করে।

এদিকে গ্রেফতার ওয়াহিদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করে। এবং তার দেখানো মতে বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে মল্লিকপাড়া মসজিদের পাশের ডোবা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও কোকের দুটি বোতল আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।

153 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন