আপডেট: জুলাই ৩১, ২০১৯
১৯৮৯ সালে এইচএসসি পাস করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১২ বছর ধরে তিনি নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে আসছেন। মোস্তাক আহম্মেদ (করিম) ওরফে এমএ করিম বশির (৪৩) ডাক্তার পরিচয়দানকারী এ প্রতারককে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের (চিটাগাং রোড) হক সুপার মার্কেটের নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার সময় তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ সদস্যরা।
এ সময় তার কাছ থেকে ডা. মো. মোস্তাক আহম্মেদ (করিম) এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি (ইমনটি ও হৃদরোগ) চিফ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড় জোড়া, বাত ব্যথা, মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামীয় ভিজিটিং কার্ড ও রোগী দেখার প্রেসক্রিপশন প্যাড উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় মো. মোস্তাক আহম্মেদ (করিম) বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর-২৬৬৩৩ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখে আসছে।
র্যাবের অভিযানে নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার বিএমএন্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে সে তার নামের সঙ্গে মিল থাকায় ডা. মো. মোস্তাক আহম্মেদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-২৬৬৩৩ দেখায়। কিন্তু উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, নিবন্ধনকৃত ডা. মোস্তাক আহমেদ ও সে এক ব্যক্তি নন।
তার নামের সঙ্গে মিল থাকায় সে প্রায় ১২ বছর ধরে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী দেখে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, স্থানীয় কলেজ থেকে ১৯৮৯ সালে এইচএসসি পাস করার পর দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখে আসছে।