৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

আ.লীগ জাতিকে কুশিক্ষা দিচ্ছে: আলাল

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

বিজয় নিউজ:: আওয়ামী লীগ জাতিকে কুশিক্ষা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতিকে কুশিক্ষা দেওয়ার জন্য যা করা দরকার আওয়ামী লীগ তা করছে। তারা যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন তাদের এ বক্তব্যের উত্তর কেন দেবো? আমি দেবো না। কারণ যে গাছে ফল আছে সেই গাছে ঢিল মারবেই । ন্যাড়া গাছে তো কেউ ঢিল মারবে না। বিএনপি তো ন্যাড়া গাছ না, বড় ফলবৃক্ষ। বিএনপি এ দেশে যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই ফলবান বৃক্ষের পরিচয় দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতিকে যে কুশিক্ষা দিচ্ছে এই ফল তাদেরকে ভোগ করতে হবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, একই সঙ্গে জাতিকেও ভোগ করতে হবে। জাতিকে তো এই ভোগের শিকার হতে দেওয়া যায় না। সেজন্য বিএনপির যে দায়িত্ব সে দায়িত্ব পালন করার জন্য বিশেষ করে নবীনদের এ জায়গাগুলোতে সঠিক নিরপেক্ষ ইতিহাসের যে চুম্বক অংশগুলো আছে সেগুলো তুলে ধরতে হবে।’

আলাল বলেন, ‘দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আওয়ামী লীগ এত কথা বলে কিন্তু বিএনপি’র সময় দেশে প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৭ শতাংশ। বিএনপি’র সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ইমারজিং টাইগার উপাধি পেয়েছিল। বিএনপির সময় ১১টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বরে।’

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আওমীলীগ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এমন অবস্থা তৈরি করেছে টিস্যু বক্সের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি লাগিয়েছে। এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে একজন সম্মানিত মানুষকে। শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাকে আমরা সম্মান করতাম, এখনো করি, ভবিষ্যতেও করবো।’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার দায় বিএনপির উপর চাপানো হয়। কিন্তু তার হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিল সবাইতো আওয়ামী লীগের। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন আব্দুল মালেক যিনি ওই সময়কার স্পিকার। তিনি লন্ডনের এয়ারপোর্টে গিয়ে বলেছেন বাংলাদেশ ফেরাউনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। এটা সেই আওয়ামী লীগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন যে রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চলছে এ জায়গায় বড় বাধা হচ্ছে বিএনপি, শহিদ জিয়া, খালেদা জিয়া। আর সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছেন তারেক রহমান। এ কারণেই তো আক্রমণ। এগুলো স্বাভাবিকভাবে নিতে হবে।’

আলাল বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন যদি আমরা আদায় করতে পারি, তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এর ফলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, তারেক রহমান দেশে এসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার নেতৃত্ব তুলে নিতে পারবেন। কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে তার অধীনে নির্বাচন করা যাবে না।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

140 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন