আপডেট: জানুয়ারি ৩, ২০২২
বিজয় নিউজ:: বাকেরগঞ্জের ভরপাশা রঘুনাথপুর গ্রামের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মনির মল্লিক (৩০) ও ইতি বেগম (১৮) কে মুমূর্ষ অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত নাজমা বেগম (৩৪) ও রিমি আক্তার (২৪) কে স্থানীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।আহত মনির মল্লিক ভরপাশা গ্রামের মৃত চাঁন মল্লিকের ছেলে ও আহত ইতি বেগম আহত মনিরের ছোট ভাই শামিম মল্লিকের স্ত্রী।
আহত সূত্রে জানা গেছে আহত মনির মল্লিক গংদের সাথে প্রতিপক্ষ হাসেম মল্লিক গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।এ নিয়ে স্থানীয় মেম্বার এর মাধ্যমে একাধিকবার সালিশ মীমাংসা ডাকা হলেও হাসেম মল্লিক গংরা সালিশ মীমাংসা প্রত্যাখ্যান করে। পরে মনির মল্লিক গংরা বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বাকেরগঞ্জ থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন ও এস আই মনির উভয় পক্ষকে নিয়ে ৬ দিন জমিজমা মাপামাপি করে সালিশ মীমাংসার ব্যবস্থা করলে প্রতিপক্ষ হাসেম মল্লিকের মন মত না হওয়া সালিশ না মেনে সেখান থেকে সরে যায়। পরে তারা হাসেম মল্লিক গংদের বিরুদ্ধে একটি ৭ ধারা মামলা দায়ের করে।
এদিকে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ হাসেম মল্লিক গংরা একাধিকবার আহত পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে প্রায় মাসখানেক আগে আহতের বড় ভাই বাদল মল্লিককে রাস্তায় প্রতিপক্ষরা পথরোধ করে মারধর করে গুরুতর জখম করে। এরপর বাদল মল্লিক বাকেরগঞ্জ থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকলে সেখানে হাসেম মল্লিক গংরা তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে থানা উপস্থিত হয় না। এখানেই ক্ষান্ত নয় প্রতিপক্ষরা রাতের আধারে আহতদের বাড়িঘরে ঢিল মেরে ভয়ভিতি সৃস্টি করে।গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মনের মল্লিক মির্জাগঞ্জ চরখালী বাজারে চুল কাটার উদ্দেশ্যে গেলে প্রতিপক্ষ হাসেম মল্লিকের গংয়েরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনির মল্লিক এর উপর হামলা চালায়। এসময় হায়দার মল্লিক, কামাল মল্লিক, স্বপন মৃধা,শমসের মল্লিক, ওমর ফারুক,সোহরাব মৃধা,ও হাসেম মল্লিক সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন বগিদা রামদা ও চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মনির মল্লিককে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মনির মল্লিকে মৃত্যু ভেবে সেখানে ফেলে রেখে আহতর বাড়িতে গিয়ে হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে গৃহবধূ ইতি বেগম, নাজমা বেগম, ও রিমি আক্তার গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।