আপডেট: মে ৬, ২০২২
সাইফুল ইসলাম,হিজলা ::হিজলায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের নারী সহ আহত ৬। উভয় পক্ষের এক পক্ষ হিজলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সে ভতি। অপর পক্ষ অজ্ঞাতস্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। থানায় মামলা করেছেন মেম্বার গ্রুপ।
সূত্র জানায় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কাঠালবাগান এলাকায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে শহিদ মেলকার এবং স্থানীয় হাশেম শিকদারের বিরোধ দির্ঘ দিনের।
৪ মে সন্ধ্যার ৭টার দিকে শহিদ মেলকারের সাথে জমির মালিক হাশেম শিকদারের কথাকাটাকাটির একপর্যায় উপভয় পক্ষের পুত্রসন্তান অংশ নেন। শুরু হয় লাঠিযুদ্ধ।
আহত রুহুল আমিন জানান, তার পিতার সাথে ইটভাটার মালিক শহিদ মেলকারের কথাকাটাকাটি চলছিল। একপর্যায় মেলকার পুত্র ইলিয়াছ রাকিব বিরোধে অংশ নেন। বিষয়টির সংবাদ তার কাছে এলে তিনি এবং তার বোন মুক্তা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পিতার আহততে তারা নিবৃত থাকতে পারেন না বলে জানান তিনি।একপর্যায় রুহুল আহত অবস্থায় তার পিতাকে পা ভাঙ্গা অবস্থায় হাসপাতালে গেলে প্রতিপক্ষ মেলকার গ্রুপ তাদের হিজলা হাসপাতাল থেকে বের করে দেন, টাকা এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে।
অপর দিকে মেলকার পুত্র ইলিয়াছ দাবি করেন তার পিতা শহিদ মেলকার ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে শ্রমিকদের বিতরণের জন্য জাচ্ছিল। কাঠালবাগান এলাকায় রুহুল আমিনসহ একটি গ্রুপ পথোরোধসহ ধারালো অস্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনাতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয় হিজলা থানায় মামলা করেন তারা।
স্থানীয় দোকানদার শুক্কুর, ফাহিম, মোতালেব জানান, নামাজের সময় পার্শ্বের মসজিদে নামাজ আদায় করছিলাম। হঠাৎ ডাকচিৎকার শুনে এসে দেখি উভয় পক্ষ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল।
সাবেক ইউপি সদস্য কাজী সুলতান জানান, জমির বিরোধ দির্ঘ দিনের। মেলকার ৬০ হাজার টাকা রুহুল আমিনকে প্রদান করেন। এর পরে উভয় পক্ষ বসার কথা থাকলেও আর বসেনি। মারামারি বিষয়টি তিনি শুনছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী রিপন খান জানায়, শহিদ মেলকার ভাটা থেকে খুন্নার দিকে যাচ্ছিলেন। দোকানের সামনে গতিরোধ করে রুহুল আমিন। তিনি নিজেও একটি লাঠির আঘাতপ্রপ্ত হন। তাদের বিরোধ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
মামলার তদন্তকর্মকর্তা এস আই সোহরাব হোসেন জানান, মামলার বিষয় তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।পরে বিস্তারিত জানা যাবে।