২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘আলেমদের ধর্মব্যবসায়ী বলে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে’

আপডেট: মে ১৬, ২০২২

বিজয় নিউজ::আলেমদের ধর্মব্যবসায়ী বলে সমাজে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।

সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে
এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি নুরুল হুদা ফয়েজী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিতর্কিত সংগঠন ঘাদানিক, জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের উদ্যোগে গঠিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস’ তদন্তে ‘গণ কমিশন’ নামে একটি কথিত কমিশন একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের দুই হাজার দিন’ শীর্ষক কথিত শ্বেতপত্রটি গত ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোড়ক উন্মোচন করেছেন। এর দুইমাস পরে গত ১২ মে দুপুর ১২টায় এই শ্বেতপত্রটি দুদক চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

নুরুল হুদা ফয়েজী বলেন, শ্বেতপত্র প্রকাশের সঙ্গে জড়িতদের ভাষ্যমতে, এখানে ১১৬ জন আলেম ও এক হাজার মাদরাসা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে তাদের ধর্মব্যবসায়ী বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং তাদের ভাষ্যমতে, ধর্মব্যবসায়ীদের অপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

‘এই শ্বেতপত্র জনসাধারণে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এই বিষয়ে আমাদের নির্ভর করতে হয়েছে তাদের মিডিয়ায় ব্রিফিং থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপরে। যদি তাদের উদ্দেশ্য সৎ হতো তাহলে শ্বেতপত্র জনসম্মুখে প্রকাশ করতো। কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের একধরনের লুকোচুরি প্রমাণ করে যে, তারা সারবত্তাহীন অভিযোগপত্র নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, তাদের কথিত শ্বেতপত্র বানানো হয়েছে জনসম্পৃক্ত উলামাদের নিয়ে। যারা দেশব্যাপী ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। ওয়াজ হলো, জনসাধারণের চরিত্র ও ধারণ ক্ষমতা অনুসারে ইসলামের নির্দেশনা ও পরকালের শাস্তি এবং প্রাপ্তি নিয়ে এক ধরনের আলোচনা। ওয়াজ কোনো একাডেমিক আলোচনা নয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও নাগরিক সমাজের পক্ষে আটটি দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো-

১. যারা কথিত শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে দেশের সম্মানিত আলেমদের সম্মানহানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের আওতায় আনতে হবে ও তাদের গতিবিধিকে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনতে হবে।

৩. যারা মাঠ প্রশাসনের এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে উদ্দেশ্যমূলক অবৈধ তৎপরতা চালিয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৪. দেশের সম্মানিত আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৫. কারাবন্দি সব মজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

৬. ওয়াজ মাহফিল নিছক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই সারাদেশে ওয়াজ মাহফিল সব প্রশাসনিক বিধি নিষেধের আওতামুক্ত রাখতে হবে।

৭. সারাদেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে সব প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

৮. আল্লাহ ও রসূল (স.) ধর্মীয়-রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্মানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করতে হবে এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ও তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

115 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন