২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

নবগঠিত মধ্যনগরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাইয়ের ছবি

আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২২

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা পরিষদ কেন্দ্র স্থলে সরকারি অর্থায়ানে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি যুক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে নকশা পরিবর্তনের পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে সংসদ সদস্য ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যনারে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বলা হয়, ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা থাকলেও বিধিবহির্ভূত ভাবে স্থানীয় সংসদ ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর ছবি বসানো হয়েছে।
এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরাল থেকে সংসদ সদস্য ও তার ছোট ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাজেদা আহমেদ।
কার্যালয় ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় প্রশাসনিক ভবনের প্রস্তাবিত এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুলাল নির্মাণের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ থেকে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোটেশনের মাধ্যমে কাজটি পায় মেসার্স রানা ট্রেডার্স নামে উপজেলার পাইকুরাটি ইউপির এক ঠিকাদার প্রতিষ্টান। তৎকালীন ধর্মপাশা উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান ৩০ দিনের মধ্যে এই ম্যুরালের নির্মাণকাজ শেষ করার সময় বেঁদে দিয়ে গত ২৩ জুন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেন।
ম্যুরালের নকশার এক পাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেক পাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি থাকার কথা। কিন্তু সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তাঁর আপন ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
মেসার্স রানা ট্রেডার্সের ঠিকাদার ইজাজুর রহমান (রানা) বলেন, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন সাহেব আমার পূর্ব পরিচিত। তিনি আমার নামীয় লাইসেন্সটি দিয়ে এই কাজটি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
তবে মোজাম্মেল হোসেন রোকনের দাবি, ম্যুরাল নির্মাণকাজে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা ইেন। বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে নিজের ও তার ভাইয়ের ছবি যুক্ত করার যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, আশপাশের কয়েকটি উপজেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই হয়তোবা এমনটি করা হয়েছে।

114 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন