৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

পরীক্ষায় ফেলের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ : শিক্ষক গ্রেফতার

আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০১৯

অভিযুক্ত শিক্ষক গ্রেফতার

বরগুনার আমতলী উপজেলার কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, আমতলী উপজেলার কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলাম গাজী ২০১৫ সালে ২২শে জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক তাকে শাসিয়ে দেন। পরে একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত বছর ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। শুরুতে ওই ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হলেও পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে গত ছয় মাস ধরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম গাজী। এতে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে ভূক্তভোগী ছাত্রীর গর্ভপাতের চেষ্টা করে অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। কিন্তু ওই ছাত্রী তাতে রাজি হয়নি।

এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বড় ভাই কুকুয়া আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুক গাজী ছাত্রীর বাবাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে গর্ভপাত করতে চাপ দেয়। ওই ছাত্রীর বাবা এতে রাজি না হওয়াতে ছাত্রীকে জোর করে পটুয়াখালী নিয়ে গর্ভপাত করা হয় বলে অভিযোগ করে ওই ছাত্রী।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ধর্ষক শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিচার দাবী করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। পরে ওই ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে গত ৩০ জুন রাতে আমতলী থানায় শিক্ষক জহিরুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার জানান, গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলামকে শনিবার ১২টায় আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।

108 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন