নিউজঃঃ সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসনের প্রতিবন্ধকতামূলক নোটিশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ৬টি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ববি ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়। এসময় নোটিশের ৩ ও ৪ নম্বর সিদ্ধান্ত বাদে বাকি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বুধবার ববি প্রশাসনের দেওয়া নোটিশে সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের অনুমতির ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা ওই নোটিশ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চ পদাতিক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা সংসদ (ববিচাস), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ড্যান্সফোরাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিইউপিএস) সহ অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন, সংগঠক আরিফুল ইসলাম আবির, মামজুদা মোস্তফা লামিয়া, সাগর মিত্র, ফারিয়া আনজুম নওশিন, ভূমিকা সরকার, হিসরাতুন হক নেহা প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, ববির অন্যতম দায়িত্ব পুরো দক্ষিণবঙ্গকে সাংস্কৃতিক ও চিন্তার জগতে নেতৃত্ব দেওয়া। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই যখন সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয় তখন স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে যে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ক্রিয়াশীল আছে তাদের সবাই স্বউদ্যোগে, স্বেচ্ছাশ্রম এবং নিজেদের প্রচেষ্টায় অর্থ সংগ্রহ করে তাদের আয়োজনগুলো সম্পন্ন করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সংগঠনগুলোর কোনোরকম দায় না নিয়ে উলটো তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে যা আমাদের জন্য পীড়াদায়ক।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হবে চিন্তার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। এখানে একে অন্যের চিন্তা ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শিক্ষার্থীরা নানা রকমে আয়োজনে যুক্ত থাকবে। এসব আয়োজনই শিক্ষার্থীদেরকে দায়িত্বশীল নাগরিক, মননশীল-মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। কিন্তু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হাটছে উলটো পথে। এমনিতেই ববির সাংস্কৃতিক আয়োজনের পরিসর অত্যন্ত সীমিত তার ওপর যদি প্রশাসন এভাবে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত রকম সাংস্কৃতিক চর্চা হারিয়ে যাবে।
মানববন্ধন শেষে সকল সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য তাৎক্ষণিক বুধবার ঘোষিত নোটিশ স্থগিত করেন। পরবর্তীতে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে নতুনভাবে কর্মপরিকল্পনা সাজানোর আশ্বাস দেন।##