আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি: ঃবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর দরপত্র বিজ্ঞপ্তি স্মারক নং 12.21.0000.010.58.181.23 এবং এর মাধ্যমে বিগত ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)- তে একটি দরপত্র প্রকাশিত হয়। উক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে সরকারের ক্রয় নীতিমালার আলোকে দরপত্রের সকল শর্ত প্রতিপালন করে গত ১৩ ই ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ সাইন্স হাউস দরপত্র দাখিল করেন। যাহার টেন্ডার আইডি নাম্বার 898729। দাখিলকৃত প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। টেন্ডারে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া স্বত্বেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর তৎকালীন মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার সম্পূর্ণ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত দরপত্রের পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নে সম্পূর্ন অসৎ ও বেআইনীভাবে সময় ক্ষেপন করেন। আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড টেন্ডারে অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া স্বত্বেও প্রাক্তন মহাপরিচালক মহোদয় দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা বাংলাদেশ সাইন্স হাউস কে কাজ দেবার জন্য পিপিআর আইন লঙ্ঘন করে কাজটির রিটেন্ডার করান। রিটেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সাইন্স হাউস এবং আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। রিটেন্ডারে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাইন্স হাউজ জাল ডকুমেন্টস সাবমিট করার কারনে তারা এই টেন্ডারের কাজ পাবেন না, তারা টেকনিক্যালি ননরেসপনসিভ হয়ে যান। সুতরাং রিটেন্ডারেও সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয় আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড Notification of Awards (NOA) চেয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ- বরাবর আবেদন করেও কোনো সমাধান না পেয়ে, পরবর্তীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবর আবেদন করেন। মাননীয় কৃষি সচিব, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে পিপিআর বিধিমালা ২০০৮ অনুসরন করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দশ দিলেও ডিজি তার প্রভাব দেখানোর জন্য কাজ দিচ্ছেন না। বর্তমানেও কাজ করার সকল প্রস্তুতি থাকা সত্বেও আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কে Notification of Awards (NOA) দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বর্তমান সরকারের অতি জরুরী উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দরপত্র উন্মুক্ত হওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও বিধি মোতাবেক Notification of Awards (NOA) না দেয়ার কারণে আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রতিষ্ঠান চরম আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের এমন অযৌক্তিক অন্যায় দীর্ঘ সূত্রিতার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা মোঃ ফিরোজুর রহমান, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপনি প্রথম বারে ঝামেলা পাকিয়ে ডিজি কে দিয়ে বেআইনীভাবে কাজটির রিটেন্ডার করিয়েছিলেন। আপনি নিজেই আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে টাকা দিয়ে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এর পোস্টে আসেন, মুল তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে আঞ্চলিক কার্যালয়ে বদলী করায়ে। মোঃ ফিরোজুর রহমান, পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সংগ্রহ ও ভান্ডার শাখার উপপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী প্রভাবে তিনি ভূমি ও ইমারত শাখায় আসেন। এখনো আওয়ামী ঘরোনার ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেবার প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। নেতৃবৃন্দরা বলেন, আপনি যেহেতু টাকার লোভে কাজটি করিয়েছেন কাজেই এটির সমাধান আপনাকেই করতে হবে। আপনি মহাপিরিচালক স্যারের সাথে কথা বলে আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজিজ ট্রেড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড কে দ্রুত সময়ের মধ্যে Notification of Awards (NOA) দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ, আওয়ামী লীগের কোটায় তখন পরিচালক পদে পদোন্নতি পান এমপির সুপারিশে। যিনি ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানের সরাসরি বিরোধীতা করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সামনের মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, যার ছবি এখন সকলের মোবাইলে মোবাইলে। তিনি এখন বারি’র অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পদ-পদবী বণ্টন, অনৈতিক পদোন্নতি এবং টেন্ডার বাণিজ্যসহ অন্যান্য কর্তৃত্ব একচেটিয়া করতে তৎপর। তার এসব কার্যক্রমের লক্ষ্য হল বারি’র প্রশাসনিক কাঠামোতে নিজের আধিপত্য বিস্তার করা। এছাড়া, অন্য কোনো নেতা যাতে ডিজির বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পারে, তার জন্য ডিজি একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করেছেন, যা তার প্রভাব এবং কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সহায়তা করছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ এর দপ্তরেই বিজ্ঞানীদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি হয়। এই সহিংস ঘটনায় বারি তে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোনো মুহূর্তে আরও মারামারির আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মহিলা বিজ্ঞানীদের বদলীর ফাদে ফেলে, ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ায় বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে। অনেকে বলে থাকেন এসব নারী কেলেঙ্কারীর জন্য ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহ করতে পারেন নাই। এমতাবস্থায় বারি’ র ডিজি পদে দ্রূত পরিবর্তন এনে সকল অপরাজনীতি বন্ধ করা এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরী বলে সকলে মনে করছেন।