২রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে কমেছে চাল-সবজির,বেড়েছে তেলের দাম

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ বরিশালে খুচরা বাজারে চালের দাম কমলেও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ৮ টাকা। তবে সপ্তাহের আগের চেয়ে চাল কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা কম দামে বিক্রয় করা হয়। মূলত ভারত থেকে  বরিশাল চালের আড়ৎদে আমদানি বাড়ায় এ প্রভাব বলে জানিয়েছেন  রানা এন্টারপ্রাইজের মালিক রানা। অন্যদিকে, বরিশাল নগরীর সবজি বাজারগুলোতে চড়া সবজির দামও কিছুটা কমেছে।এদিকে, গত সপ্তাহে চেয়ে সয়াবিন তেলে লিটারে ১০ টাকা বেশি দরে ক্রয় করতে হয় ক্রেতাদের।সে কারণে এখন বাজারে তৈরি হয়েছে এই অস্থিরতা।পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি, তবে কমিশন কমিয়ে দিয়েছে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। এতে বাজারে বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও সুপার পাম অয়েলের দাম। গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে এই দুই ধরনের তেলের দাম বেড়েছে লিটারে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকার মতো।এখন খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮২ টাকা। আর সুপার পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা ১৬৭ টাকা দরে। চার দিন আগেও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৭০ এবং পাম অয়েলের দাম ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা আমির হোসেন।

এদিকে, চাল বিক্রেতা সুমন রাড়ী জানিয়েছেন, ভারত থেকে এখন  মোটা কয়েক পদের চাল আমদানি হচ্ছে।যার ফলে চাল প্রতি কেজিতে ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা  দাম কমেছে।যারফলে সরবরাহ সংকট তৈরি করে তেলের দাম বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলোএখন বাজারে প্রতিকেজি  মোটা পায়জাম ও স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, যা কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা কমেছে।তবে মিনিকেট চাল আগের দামেই ৭৬ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে, বরিশাল নগরীর বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে আসেনি। এখনো প্রায় প্রতিটি সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির দাম গত কয়েক সপ্তাহ ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।ওইসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি পটল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙার কেজি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। করলা, বেগুন, বরবটি, চিচিঙা কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তবে কম দামে পেঁপে ৩০ টাকা এবং আলু ২৫ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে।এদিকে, বাজারে এখন মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি ১৭৫ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৪০ টাকা দামে।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন