আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৫
শাহজাহানখান,বাবুগঞ্জথেকে : ঃ আসন্নএয়োদশ,জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাবুগঞ্জের রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়ে চলছে। বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা কে নিয়ে গঠিত বরিশাল -৩ আসনে সাতজন সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি’র প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এ কারণে জামায়াতের নেতাকর্মীরা খোশমেজাজে রয়েছেন । অপরদিকে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপি অভ্যন্তরীন কোন্দ্ল বেড়েছে। দুইটি গ্রুপে সক্রিয় রয়েছে। বিএনপির হেভিওয়েট,নেতা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান। আরেক বিএনপি’র হেভিওয়েট নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের ১ নং যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক বিএনপি সভাপতি আব্দুস সাত্তার খান মনোনয়নের আলোচনায় রয়েছেন। আলাদাভাবে ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনায় সরব। অবশ্য তারা বলছেন, ধানের শীষে যে মনোনয়ন পাবেন আমরা সবাই এক হয়ে তার পক্ষে কাজ করব। এ আসনটি বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দ্ল থাকার কারণে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর কাছে বিএনপি প্রার্থীরা একাধিকবার পরাজিত হয়েছেন। ভোটারদের কাছে বিএনপি জনপ্রিয় হলেও ২০২৪ সালের ৫ ই আগস্ট পর দলের কতিপয় নেতাকর্মীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জনপ্রিয়তা কিছুটা ধস নেমেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। একাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। লুটপাট, বাসস্ট্যান্ড দখল, সালিশ করে টাকা কামানোর অভিযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায় জামায়াত। সেলিমা রহমান যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রীয় রাজনীতি করা সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর্যন্ত বরিশাল -৩ আসনের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করেছি। দলের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে একাধিকবার ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্যাতিত হয়ে কারাবরণ ভোগ করতে হয়েছে। যেকোনো দিক দিয়া মনোনয়ন ব্যাপারে আমি আশাবাদী। মনোনয়ন পেলে দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে কাজ করবেন বলে বিশ্বাস করি। দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন উপজেলা বিএনপিকে সক্রিয় রাখতে সেলিমা রহমানের অবদান অস্বীকার করা যায় না। অপরদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন অসুস্থতার থাকার কারণে তার বক্তব্য নেয়ার সম্ভব হয়নি।কিন্তু তার পক্ষের সামর্থকরা বলেন, জয়নাল আবেদীন একজনপ্রবীণ আইনজীবী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে তাদের বিশ্বাস। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনা করেছেন এবং নেতাকর্মীদেরও মামলা পরিচালনা করেছেন। দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার কারণে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদী করছেন বিএনপি’র একাংশ। বিএনপি আরেক প্রার্থী আব্দুস সাত্তার খান বলেন,দলকে সুসংগঠিত করার অবদান রয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের, দল তাকে মনোনায়ন দিলে তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন।একই কথা বলেছেন অপরপ্রার্থী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ। এখানে তাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তিন প্রার্থী জোট বেঁধেছে সেলিমার রহমানের পক্ষে মনোনয়ন পেতে। বিএনপি প্রবীণ একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেছেন, বিএনপি’র হাই কমান্ডের উচিত দুই প্রবীণ হেভিওয়েট নেতাদের বাদ দিয়ে তরুণদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দিলে দলের মধ্যে কোন গ্রুপিং থাকবে না দল সুসংগঠিত হয়ে উঠবে।একাধিক বিএনপি নেতারা বলেছেন, তরুণ প্রার্থী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়ের করা মামলা থেকে বিএনপি নেতা কর্মীদের হাইকোর্ট থেকে জামিন করায় বাবুগঞ্জ -মুলাদী উপজেলার বিএনপি নেতা কর্মীরা ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। জামায়াতের বরিশাল জেলা থাকার শাখার কাউন্সিলরদের মতামত ও কেন্দ্রীয় অনুমোদন সাপেক্ষে এ আসনে জামাতের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন সাত-আট মাস আগ থেকে কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও জেলা আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন ওয়ার্ড পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য তাদের কমিটি রয়েছে। সার্বক্ষণিক আমাদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো দলের প্রার্থীর সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম। এ আসন থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম। এআসনে কেন্দ্রীয় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।এ আসনে এনসিপি কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না।