আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ নির্বাচিত করে আমাকে সংসদে পাঠিয়েছে। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, যেখানেই থাকি না কেন আমি সবসময় মনে করি জনগণের ভালো-মন্দ দেখা আমার দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমি তো আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। আর ১২টায় ঘুম থেকে উঠি না। বলতে গেলে আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ ঘণ্টা ঘুমের সময় পাই। সার্বক্ষণিক চেষ্টা করছি, দেশের কোথায় কী হচ্ছে সেগুলোর ওপর নজর রাখার। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরাম দলীয় সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার ডেঙ্গুটা শুধু বাংলাদেশে নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও দেখা দিয়েছে। ফিলিপাইনে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৫০০ লোক মারা গেছে। মহামারী আকার সেখানে দেখা দিয়েছিল, তারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। আমাদের দেশে সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে দেইনি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কার্যকর ওষুধ আনা হয়েছে। এর আগে ওষুধ কেনার ব্যাপারে কারা দায়ী বা সত্যিকারে কেন কাজ হয়নি এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। মশার প্রজনন যেন না হয় সে বিষয়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী হলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না : বিএনপির রুমিন ফারহানার লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যার রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতেও বিশ্বাসী নয়। আমরা যদি তাই বিশ্বাস করতাম তাহলে এ দেশে বিএনপির অস্তিত্ব থাকত না। কারণ বিএনপির দ্বারা আমরা যে পরিমাণ হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তা আর কেউ হয়নি। তিনি বলেন, অকার্যকর রাষ্ট্রের উদাহরণ তো বিএনপি সৃষ্টি করেছিল।
জাতীয় পার্টির মুজিবুল হকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে সুসম্পর্ক। এর ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলো শিগগিরই সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী। আশা করা যায়, আমার ভারত সফরের আগেই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
উন্নয়নের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের প্রতি আহ্বান : বাসস জানায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, এ অবস্থা বজায় রাখতে পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট অনুমোদিত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্যাংকটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকা অপরিহার্য। আর এ দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ বাহিনীর ওপর বর্তায়। আমি আশাবাদী, পুলিশ এখন যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে, তেমনি ভবিষ্যতেও করবে।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রাজারবাগ পুলিশ লাইন অডিটোরিয়ামে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এবং গুলশানের করপোরেট কার্যালয়ে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।