আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০১৯
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ঝালকাঠি জেলায় ১২৬ জন মাদক বিক্রেতা নিয়ন্ত্রন করছে জেলার মাদক সিন্ডিকেট। তবে এর মধ্যে কিছু সেবনকারীও রয়েছে যারা সরাসরি মাঠ পর্যায় মাদক বিক্রি না করলেও অনেক সময় মাদক বিক্রেতাদের মাদক আনতে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। মাদক সিন্ডিকেটের এই ১২৬ জনের মধ্যে ঝালকাঠি সদরে রয়েছে ৫৩ জন। নলছিটি উপজেলায় ২৪ জন, রাজাপুরে ২৭ জন এবং কাঠালিয়ায় রয়েছে ২২ জন।
এরা সকলেই তালিকাভূক্ত। তবে জেলায় ৪ জন বৈধ মাদকসেবীও রয়েছেন। যাদেরকে মাদ্রক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর থেকে মদ খাবার লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মাদ্রক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। মাঠ পর্যায় যেসব মাদক বিক্রি হয়, তার মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা।
সূত্র জানায় জেলার ১৫ থেকে ২০টি স্পটে মাদক বিক্রি হয়ে থাকে। ঝালকাঠি শহরের পৌর খেয়াঘাট, কলেজ মোড়, টিএন্ডটি রোড, শীতলাখোলা, কৃত্তিপাশা বাজার ও নবগ্রামে মাদক বিক্রির ম্পট রয়েছে। নলছিটিতে দপদটিয়া ফেরিঘাট, পৌরসভার আশেপাশে ও ষাটপাকিয়ায় মাদক বিক্রির স্পট রয়েছে। রাজাপুরের শহরের কয়েকটি এলাকা, গালুয়া ও সাতুরিয়ায় ইউনিয়নেও বেশ কয়েকটি মাদক ম্পট রয়েছে।
এছাড়া কাঠালিয়া উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকা, উত্তর চেচরীরামপুর-ভান্ডারিয়া সীমান্ত এলাকা, আওড়াবুনিয়া-রাজাপুর সীমান্ত এলাকা, পাটিখালঘাটা-মঠবাড়ীয়া সীমান্ত এলাকার স্পটগুলোতে মাদক বিক্রি হ”েছ ।
এদিকে জেলার মাদক নিয়ন্ত্রনে কাংখিত ভূমীকা রাখতে পারছেনা মাদ্রক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। তবে এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবী, তারা লোকবলের অভাবেই কাংখিত কাজ করতে পারছেননা।
তারা জানান, চলতি বছরে ঝালকাঠি মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ১৪৫টি অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে ১৮টি মামলা হয়। সরেজমিন ঝালকাঠি মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, এখানে সর্বসাকুল্যে ৬ জন ষ্টাফ কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ১ জন ইনেসপেক্টর, ১ জন সাব ইনেসপেক্টর, ১ জন এএসআই ও ৩ জন সেপাই রয়েছেন। অবিস্বাশ্য হলেও সত্য এই দপ্তরের কোন যানবহন নেই। এমনকি একটি সাইকেলও নেই।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক মো: সাইফুল আলম বলেন, সারাদেশে মাদক বিরোধী যে অভিযান চলছে তাতে মাদক বিক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে আসছে। ঝালকাঠিতেও সে সংখ্যা কমেছে। মাদক রোধে আমরা সাধ্যমত অভিযান অব্যহত রাখবো।