১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

হিজলায় অবৈধ ভাবে আশ্রায়ন বিক্রি-তহসিলদার-প্রশাসনের নজরদারির অভাব

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০

সাইফুল ইসলাম হিজলা প্রতিনিধি:: সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাক বিক্রি করলে ভুমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) সংকরচন্দ্র মালাকার এবং তার দোষরগণ । সরকারের দরিয়ামে ঢাল । নেই নিয়মনীতি। লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যরাক আলীগঞ্জ খোলা বাজারে উন্মুক্ত দরে বিক্রি করে দিলেন সংকরচন্দ্র মালাকার। এতে অনুমোতি লাগেনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ভুমি সংশ্লিষ্টদের।

9 সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গেলে দেখা যায় আলীগঞ্জ বাজারের কুয়েতি মাকেটে পড়ে আছে আশ্রায়নের টিন, কাঠ, খুটি। একটু দুরে আলীগঞ্জ মাদ্রাসার সামনে পড়ে আছে বেশ কিছু আশ্রায়নের সিমেন্টের খুটি।স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, এ খুটি, টিন, রুয়া, বাঘা, ইট কুঞ্জপট্ট্রি থেকে নিয়ে আসেন স্থানীয় ভুমি সহকারি কর্মকর্তা সংকরচন্দ্র মালাকার। বাজারে এনে পানির দরে বিক্রি করেন তিনি।


কুঞ্জ পট্ট্রি আশ্রায়নে গেলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, নজরুল ইসলাম, হাবিব নকতি, মহিউদ্দিন, বাবুল সরদার, মোজাম্মেল বেপারীসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, তহসিলদার সংকর মালাকার এবং স্থানীয় সুমন চৌধুরী, রামপ্রাসাদ, নিমাই মালাকার, সমির মালাকার আমাদের ব্যারাক ভেঙ্গে তহসিল অফিসে নিয়ে যান। পরে শুনি সে গুলো আলীগঞ্জ বাজারের ভুমি অফিসের সামনে বিক্রি তারা।

রামপ্রাসাদ, নিমাই মালাকার, সমির মালাকার জানান, তহসিলদার নিজে এ মালগুলো তাদের কাছে বিক্রি করেন। সে মোতাবেক তারা স্থানীয়দের মাঝে বিক্রি করেন।
স্থানীয় শাহজাহান সরদার জানান, তিনি বেশ কিছু রুয়া, বাঘা ক্রয় করেন তহসিলদার এবংরামপ্রাসাদ, নিমাই মালাকার, সমির মালাকার এর কাছ থেকে। বৈধ অবৈধ জানিনা্। টাকা দিয়ে কিনেছি। আলীগঞ্জ বাজারের বহুজন ক্রয় করেন। সিরাজ কসমেটিক নামের এক দোকানদার জানান, কুঞ্জপট্ট্রি থেকে এখানে এনে টিন, কাঠ বিক্রি করল তখন কেউ কোন প্রতিবাদ করল না। এখন আপনারা আসছেন তথ্য জানতে। আমরাতো টাকা দিয়ে এগুলো তহসিলদারের কাছ থেকে ক্রয় করি। অপরাধ কি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকবুল আলম মিয়া জানান, সরকারের লোক সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছেন। সেখানে আমার বাধা দেয়ার প্রয়োজন কিসে। তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তো তাকে কিছু বলেনি।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রফিক জানান, এ মালামাল তহসিলদার এনেছেন। তিনিই স্থানীয়দের মাঝে বিক্রি করেন। আমি বাঁধা দেই কি ভাবে। এখন জানলাম তিনি চুরি কের এগুলো বিক্রি করছেন।
ধুলখোলা ইউনিয়ন ভুমিসহকারি কর্মকর্তা সংকর মালাকার জানান, তিনি কোন আশ্রায়নের মালামাল বিক্রি করেন নি। ঐ গুলো স্থানীয় সুমন চৌধুরী, রামপ্রাসাদ, নিমাই মালাকার, সমির মালাকারকে দেয়া হয়েছে। তাদের কিভাবে দেয়া হলো এমন প্রশ্নে জানান, ঘরগুলোতো ভাংতে খরচ হয়েছে। তিনি তা পকেট দিয়ে দেবেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রাসেল মাঝি জানান, ইউএনও স্যার তাকে ঘর ভাঙগার জন্য নগদ 2 হাজার টাকা প্রদান করেন। সে মোতাবেক ঘর ভাংগেন। মাঝখানে তহসিলদার নিজক্ষমতায় ঘরগুলো ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাশ এর ফোনে জানতে চাইলে জানান, তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য হিজলা ভুমি অফিসকে নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি গরিবের ঘর একজন তহসিলদার বিক্রি করে খাবেন, সরকার কোন ব্যবস্থা নেবেন না। এ কেমন দেশ। এ কেমন দেশের বিচার।

149 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন