২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

গুলি নেই, রাইফেল থেকে কী লাভ: হাইকোর্ট

আপডেট: জুলাই ৩০, ২০১৯

এডিস মশা নিধনের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, আমাদের ধারণা, যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তাকে কোনো কাজ হচ্ছে না। এ জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অধিক কার্যকর ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হচ্ছে। আপনার রাইফেল আছে, গুলি নেই, তখন রাইফেল থেকে কী লাভ?

মঙ্গলবার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপুকে উদ্দেশ করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ সব কথা বলেন।

একই সঙ্গে এডিশ মশা মারতে বিদেশ থেকে নতুন ওষুধ আনতে কত সময় লাগবে তা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে বলেছেন।

মশা নির্মূলে দুই সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করা উচিত ছিল। কিন্ত আপনারা তা করেননি। আমাদের (আদালত) রুল জারির পর আপনাদের ঘুম ভেঙ্গেছে। এরপর উল্টা-পাল্টা বলতে লাগলেন, পরে সরকারের ধমক খেয়ে চুপ হলেন।

আদালত বলেন, কেউ যদি জেগে ঘুমায় তাহলে তাকে জাগানো যায় না। দুই সিটি কর্পোরেশনের অবস্থা হচ্ছে সেই রকম। মশা নিধনের বিষয়টি আপনারা সিরিয়াসলি (গুরুত্ব) নিচ্ছেন না।

শুনানিতে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে লোকবল বাড়ানো হয়েছে।

আদালত বলেন, আমাদের ধারণা, যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তাকে কোনো কাজ হচ্ছে না। এ জন্য বিভিন্ন মহল থেকে অধিক কার্যকর ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হচ্ছে। আপনার রাইফেল আছে, গুলি নেই, তখন রাইফেল থেকে কী লাভ?

আইনজীবী বলেন, চায়না থেকে ওষুধ আনা হবে। সিটি কর্পোরেশন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে মশা নিধনে।

আদালত বলেন, আপনাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।

আইনজীবী বলেন, সারা বছরই মশা নিধন কার্যক্রম চলে। এখন মশার প্রকোপ বেড়েছে।

আদালত বলেন, যদি সারা বছর কার্যক্রম চলে তাহলে প্রকোপ বাড়বে কেন?

আইনজীবী বলেন, নতুন একটি ওষুধ আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ হয়ত লাইসেন্সটা পেয়ে যাবে। ১-২ সপ্তাহের মধ্যে হয়তো ওষুধ চলে আসবে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বিষয়টি মনিটর করা হচ্ছে।

102 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন