২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পন্ড হয়ে গেছে বরিশাল জেলা পরিষদের বার্ষিক বাজেট প্রনয়ন সভা

আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার :
বরিশাল জেলা পরিষদের বার্ষিক বাজেট প্রনয়ন সভা গতকাল রোবাবার পন্ড হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের সভাকÿে সভা চলাকালে চেয়ারম্যান মইদুল ইসলামের সাথে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সভা বর্জন করে পরিষদের উপস্থিত সকল সদস্য। তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২ থেকে ৫ ভাগ হারে উৎকোচ গ্রহন, দূর্ণীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোলা ১৯টি অভিযোগের স্থায়ী সমাধান না হলে তার সঙ্গে আরো কোন সভায় অংশ না নেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন জেলা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য। এমনকি তারা এসব অভিযোগ স্থাণীয় সরকার মন্ত্রনালয়সহ দলীয় শীর্ষ নেতাদের অবহিত করারও ঘোষনা দিয়েছেন।
জেলা পরিষদের সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন বলেন, গতকাল পরিষদের মাসিক সভায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট প্রনয়নের এজেন্ডা ছিল। ১৯ জন সদস্যের মধ্যে ১৬ জন সভায় অংশ নেন। সভার শুরুতেই সকল সদস্যের পÿ থেকে তাদের ১৯ দফা দাবী সম্বলিত একটি লিখিত প্র¯Íাব উপস্থাপন করেন। চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম সদস্যদের এসব দাবী নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তখন সভায় হৈ-চৈ হয়। এক পর্যায়ে সকল সদস্য সভা বর্জন করে কÿ থেকে বেরিয়ে যান।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের লিখিত উপস্থাপন করা দাবীগুলোর উলেøখযোগ্য হচ্ছে, ৪ ভাগ হারে সদস্যদের উন্নয়ন প্রকল্প প্রদান, গত অর্থ বছরে চেয়ারম্যান সদস্যদের অগোচরে ২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করেছেন, সেটার সমম্বয়ের জন্য নতুন অর্থ বছরে সদস্যদের জন্য সম পরিমান অর্থের প্রকল্প প্রদান, সিপিপিসির প্রথম কি¯িÍ ৩ কর্মদিবসে ও শেষ কি¯িÍ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে চেক প্রদান, চেয়ারম্যান ৩ কর্মদিবস অনুপস্থিত থাকলে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব প্রদান ও ৭ কর্মদিবস অনুপস্থিত থাকলে আর্থিক ÿমতা হ¯Íান্তর, নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারা দেয়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ইজারা বাতিল, অফিস খরচের নামে চেয়ারম্যানের ২ ভাগ ও অন্যান্যদের ৫ ভাগ হারে উৎকোচ গ্রহন এবং ঘুষ প্রথা বন্ধ করন, জেলা পরিষদর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্ণীতি-অনিয়ম বন্ধ করা, জেলা পরিষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ও তহবিলের পরিমান প্রকাশ করা, মীরগঞ্জ খেয়াঘাট ও মেহেন্দীগঞ্জ খেয়াঘাটের সুস্ট জটিলতা দুরীকরন।
জেলা পরিষদের অপর সদস্য মুনাওয়ারুল ইসলাম অলিউল বলেন, চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম গত দুই বছর যাবত খামখেয়ালীপানা করে পরিষদ চালাচ্ছেন। আয়-ব্যায়ের কোন হিসাব সভায় দেননা। সদস্যরা কোন উন্নয়ন প্রকল্প দিলে সেটা অনুমোদিত হয়না। ফলে সদস্যরা জেলা পরিষদে ঠুটো জগন্নাথে পরিনত হয়েছেন। জনগনের কাছে দেয়া প্রতিশ্রæতি রÿা করতে পারছেন না। এ অবস্থা সমাধানের জন্য গতকালকের সভা ১৯ দফা দাবীর একটি প্র¯Íাব উপস্থাপন করেছিলেন। চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম এসব নিয়ে কোন আলোচনা না করে উল্টো চটে যান। অলিউল আরও বলেন, চেয়ারম্যান এ সমস্যার সমাধান না করলে তারা স্থানীয় মন্ত্রাণালয়, দলীয় ফোরাম সহ সংশিøষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেবেন।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মানিক হার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গতকালকের সভায় বাজেট প্রনয়নের কথা ছিল। সভার শুরুতেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে সদস্যরা সভা বর্জন করেন। ফলে বাজেট প্রনয়ন আর হয়নি।

108 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন