২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মেঘনার ভাঙ্গনে হুমকীতে হিজলা উপজেলা

আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০১৯

হিজলা প্রতিনিধি :ঃ ভাঙ্গনের মুখে হিজলা উপজেলা। নরিয়ার দশা অপেক্ষা করছে এখানে। যে কোন মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে বরিশালের হিজলা উপজেলা সদর। নরিয়ার পরিনতি অপেক্ষা করছে এখানে। মাত্র দুই দিনে ১৫০টি পরিবার নদীর গর্ভে বিলী হয়েছে। আমাবশ্যার জোয়ারের সাথে সাথে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। হতাশায় শত শত পরিবার।

ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ দিয়েও পারপাচ্ছেন না বাউশিয়া বাসি। ইতোমধ্যে ৬ হাজার বস্তা জিওব্যাগ ফেললেও তা খুবই নগন্য বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
হিজলা উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ শত গজ দুরে প্রমত্তা মেঘনার শাখা নদী। এখান দিয়ে হাজার হাজার লঞ্চ কার্গোর যাতায়াত ঢাকা, চাঁদপুর, চট্রগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, যশোর সহ দেশের ভিভিন্ন এলাকায়।

পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ চ্যানেলটির গুরুত্ব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে এ চ্যানেল ছাড়া অভ্যন্তরীন ও বিদেশের সাথে জলপথে পণ্য যোগাযোগের মাধ্য হিসাবে এটি জাতীয় ক্ষেত্রে অপরিসিম হয়ে দাড়িয়েছে। সেই সাথে ভাঙ্গছে হিজলার জনবহুল গ্রাম দক্ষিণ বাউশিয়া। অসহায় শত শত পরিবার। দির্ঘ দিন যাবত ভাংছে পাশর্ববর্তী গ্রাম বাউশিয়া।

১৯৯৬ সালে এ গ্রামে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ হাজার। ২০০০ সালের দিকে তা কমে দাড়িয়েছে ৪ হাজারে। এর পর কমতে কমতে শুণ্যও কোঠায় চলে অসছে। বর্তমানে বাউশিয়ার মানচিত্র বলতে শত পরিবারের একটি প্রতিকী গ্রাম। হাজার হাজার পরিবার ভাঙ্গনে গ্রাম ছাড়া। হাতাশার মধ্যে উপজেলা সদরের সাধারণ মানুষ ও সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

বাস্তচ্যুত শত শত পরিবার এখন খালেঃ- বসত বাড়ি হারা শত শত পরিবার এখন এমপি পংকজ নাথের খাল ভরাটের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। বিগত বছর ভাঙ্গনের পার্শ্বের একটি খাল ভরাট করে মাঠ নির্মানের জন্য প্র¯‘ত করা হয়। এখানে এখন শত শত পরিবারের ঠাই। এটিও নদীগর্ভে বিলীনের অপেক্ষায়।

এর পরেই হিজলা উপজেলা সদর। দুরত্ব মাত্র ১ শত গজ। যে কোন মুহুর্তে বিলীন হতে পাওে উপজেলাটি। সময় থাকতে উপজেলা রক্ষার জন্য জোর দাবি স্থানীয় অসহায় সাধারণ মানুষের। এখানকার জনগনের দশা যেন নরিয়ার মতো না হয়।

606 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন