আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২৪
বিজয় নিউজঃঃ চাঁদার দাবিতে বিএনপি নেতার মাছ ঘাটে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলার হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গৌরব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন ও তার কর্মী দেলোয়ার হোসেন দেলু। বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হিজলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিলন ও তার কর্মী দেলোয়ার হোসেন দেলুকে বুধবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এজাহারে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে মেঘনা নদীর তীরবর্তী হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা আব্দুল গাফফার তালুকদারের নয়টি মাছ ঘাটে গত ২৪ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নামধারী একশ’জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতার দায়ের করা মামলায় তিনিসহ উপজেলার ছয়জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন-মাই টিভির হিজলা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের হিজলা প্রতিনিধি মো. আলহাজ, এশিয়ান টেলিভিশনের হিজলা প্রতিনিধি মিলন সরদার, দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি কাজী মহসিন, দৈনিক আজকের বার্তার প্রতিনিধি হুমায়ুন নলী এবং দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর প্রতিনিধি মো. শাহে আলম। সাংবাদিকদের মামলায় আসামি করার ব্যাপারে জানার জন্য মামলার বাদী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে সাংবাদিকদের মামলায় আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের হয়রানী না করাসহ মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক বিবৃতি দিয়েছেন, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। ###