৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

মারজুক আব্দুল্লাহ ৪ বিবাহ নিয়ে নগরীতে তোলপাড়

আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃঃ আলোচিত বরিশালের সমন্বয়ক মারজুক আব্দুল্লাহ ৪ বিবাহ নিয়ে নগরীতে তোলপাড় চলছে। মিথ্যা মামলাদিয়ে টাকা আদায় করাসহ নানান অপরাধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব বহিষ্কৃত সহ সমন্বয়ক সেই মারজুক আব্দুল্লাহ বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে ৪ স্তী। কিছুদিন আগে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা  নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে গন ধোলাই দেয় মারজুক আব্দুল্লাহকে।

বহুল বিতর্কিত প্রতারক, নির্যাতনকারী,ভুয়া ছাত্রনেতা, ভুয়া সমন্বয়ক, নানান পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, ডাকাতির প্রস্তুতি,ভুয়া মামলায় আসামী করার হুমকি,ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চাঁদাবাজীর মাধ্যমে অর্থ আদায়ের ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে মারজুকের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিতর্কিত মারজুক দু সন্তানের এক জননীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া,স্ত্রী মেহরুন্নেছাকে নির্যাতনের কারনে স্ত্রী কর্তৃক ডিভোর্স দেয়া।এছাড়া প্রলোভন দিয়ে আরো দুজনকে বিয়ে করে ভোগ বিলাস করে ছেড়ে দেয়াসহ অসংখ্য নারীদের ব্লাকমেইলিং করে ভোগ করাই মারজুক আব্দুল্লাহর কাজ।বর্তমানে গনধোলাই খেয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ছাড়াও মারজুক আব্দুল্লাহ আলেকান্দা কলেজে পড়াকালীন সময়ে অসংখ্য ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বনাশ করেছে মারজুক।২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল বিয়ে করে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাজলাকাঠী গ্রামের মিলন হোসেনের মেয়ে মেহেরুন্নেছাকে।সেই খানে একটি সন্তানও রয়েছে।মারজুকের পরকিয়া প্রেমের ঘটনা মেহেরুন্নেছা জানতে পারে। এই ঘটনা জিজ্ঞাসা করলেই মেহেরুন্নেছার ওপর নির্যাতন করে মারজুক।নির্যাতন সইতে না পেরে মেহেরুন্নেছা পিতার বাড়িতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।চলতি বছরের ১৮ আগষ্ট মেহেরুন্নেছা ডিভোর্স দেয় মারজুককে।ডিভোর্স দেয়ার পরে মেহেরুন্নেছা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে একাধিকবার হয়রানী করে ।মারজুক।এই অবৈধ কাজে সহযোগীতা করছেন কোতয়ালী মপেল থানার এস আই মোস্তাফিজ।এদিকে আলেকান্দা কলেজের মারজুকের এক ক্লাশ জুনিয়র, কাউনিয়া এলাকার এক টিকটকার নারীকে মারজুক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কুয়াকাটা নিয়ে রাখে তিনদিন।জানা গেছে কুয়াকাটায় হোটেল সানফ্লাওয়ারের ৫০৪ নম্বর রুমে ঐনারীর সাথে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিয়ে করে। ঐ নারী মারজুকের প্রতারনা বুঝতে পেরে নিজেকে সরিয়ে নেন। এভাবে অসংখ্য নারীদের প্রলোভন ও ব্লাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে ভোগ করে ছেড়ে দেয়াই কাজ ছিল মারজুক আব্দুল্লাহর।

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন