২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

ভিসার ধরণ না বুঝে কুয়েতে এসে বিপাকে প্রবাসীরা

আপডেট: জুলাই ২৭, ২০১৯

ভিসার ধরণ না বুঝে কুয়েতে এসে বিপাকে পড়েছে প্রবাসীরা। কুয়েতে বিভিন্ন ধরণের ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে তার মধ্যে হল ফ্যামিলি ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, মাছনা, মাছুরা ভিসা, খাদেম ভিসা ( ২০ নম্বর) রিলিজ দিলে এক কুয়েতির ঘর থেকে অন্য কুয়েতির ঘরে ভিসা লাগাতে হয়।

অন্য কোথায়ও ভিসা পরিবর্তন করা যায় না। মাজরা রায় শোন (১৮ নাম্বার) এ ভিসায় খামার অথবা বাগানের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে কাজ করা অবৈধ। চেকে পড়লে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে স্থানীয় প্রশাসন।

আহলি (১৮ নম্বর) শোন ভিসা কোম্পানির চুক্তির নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পর অন্য যেকোনো কোম্পানিতে ভিসার লাগাতে পারে প্রচলিত নিয়ম মেনে। তবে বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়ার কারণে বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরণের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

শুধুমাত্র বর্তমানে কুয়েতে সরকারিভাবে আকদ হুকুমা নামে (১৮ নাম্বার ) ভিসা চালু রয়েছে। যে ভিসাগুলো কুয়েত সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে প্রদান করেছে। বিভিন্ন কোম্পানিদের এ ভিসায় কাজ হলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার, অন্য কোনো কোম্পানিতে ট্রান্সফার যোগ্য নয়। বেতন কুয়েতি ৬০ দিনার ( বাংলা টাকায় প্রায় ১৭ হাজার টাকার মত) মসজিদ , মাদ্রাসা ও কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ হয়ে থাকে।

আসার দুই বছর পর যে কোম্পানির মাধ্যমে আসছে সে কোম্পানির লোকদের টাকা দিয়ে যে সাইটে কাজ করছে সে সাইট থেকে অন্য সাইটে পরিবর্তন করতে পারে। অথবা এ ধরণের ভিসা গুলো অন্য কোনো কোম্পানি নিয়ে থাকলে সে কোম্পানিতে একই ধরণের কাজে সে কোম্পানিতে যেতে পারে। বেতন ও সুযোগ সুবিধা একই।

ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালি নাগরিকরা শুধু মাত্র ১ লক্ষ টাকা খরচ করে ২ বছর মেয়াদি এ ভিসায় এসেছে। আর কোম্পানির কিছু কর্মকর্তা ও ভিসার দালালরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশির কাছে এ ভিসাগুলো নানা ধরণের সুযোগ সুবিধার কথা বলে ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টায় বিক্রি করেছে।

মানবাধিকারকর্মী কুয়েত প্রবাসী নুর আলম বাশার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে আমাদের বাংলাদেশিরাও এক লক্ষ টাকায় এ ভিসায় কুয়েতে আসতে পারে কিন্ত আমাদের দেশে কিছু অর্থলোভী অসাধু ভিসার দালালদের সিন্ডিকেটের কারণে দেশের শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকরা তাদের ফাঁদে পড়ে না জেনে উচ্চ মূল্যে ভিসা নিয়ে আসার পর আফসোস করে।
যাদের পরিচিত লোক আছে তারা হয়তো কেউ কেউ পার্টটাইম জব খুঁজে পাচ্ছে। বেশিরভাগেই পাচ্ছে না। যে আকামা সেখানে ছাড়া অন্যত্র কাজ করা কুয়েতি আইনে অবৈধ। আবার কুয়েতে অনেক জাগায় কাজ থাকলেও বিভিন্ন ক্যাটাগরির আকামা সমস্যা থাকার কারণে কাজে নিতে চায় না কেউ। যার কারণে দালালের লোভনীয় কথা ৭ লাখ ৮ লাখ টাকায় ভিসা নিয়ে এখানে আসার পর বাস্তব পরিস্থিতি করতে গিয়ে হতাশা আর মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেক প্রবাসী।

121 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন