২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ডুবতে শুরু করছে হিজলা উপজেলার সিংহভাগ আঞ্চল ।।ভাঙগনের মুখে একের পর এক গ্রাম

আপডেট: জুলাই ৭, ২০২১

সাইফুল ইসলাম( বরিশাল) হিজলা::করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই বন্যা নিয়ে নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) জানিয়েছে, চলতি মাসে দক্ষিণাঞ্চল বাদে দেশের আর সব অঞ্চলেই বন্যা হতে পারে।
শঙ্কায় দিন কাটছে মধ্যাঞ্চল বরিশালের সর্বশেষ সীমানা হিজলার মেঘনা পাড়ের হাজার হাজার মানুষের মাঝে। গঙ্গা,পদ্মা, মেঘনার মিলনস্থলে চাঁদপুর। এ মোহনায় বরিশালের হিজলা উপজেলা। সম্পূর্ন মেঘনার পেটে। উত্তরের বানের আঘাত এসে পড়ে প্রথমেই হিজলায়। ভাঙতে শুরু করে হিজলার বিভিন্ন এলাকা।


উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিশদ চেয়ারম্যান পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, হরিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ লতিফ শিকদার, হিজলাগৌরব্দী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, ধুলখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল আহমেদ দপ্তরী জানান, হিজলা উপজেলার কথা নতুন করে বলার কিছুই নাই। আমরা সবকটি ইউনিয়ন মেঘনার বুকে হাবুডুবু খাচ্ছি। সামনে বর্ষ, মেঘনার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে।
বারবার এ অঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ইতোমধ্যে হিজলা উপজেলা রক্ষা বাঁধ শুরু হয়েও হলো না। যে কোন মুহুর্তে ডুবতে পারে উপজেলাটি।পুরাতন হিজলা ইতোমধ্যে শেষ। ধুলখোলায় চলমান কাজের গতি নেই। হরিনাথপুরের গুরুত্বপূর্ন বন্দর মেঘানায় গিলে খাচ্ছে।
মাহা ঝুকির মধ্যে হিজলার বড়জালিয়া, হরিনাথপুর, মেমানিয়া, ধুলখোল, হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়ন। প্রতিবছর বর্ষামৌসুমে হিজলা ভাঙছে তো ভাঙছে। বাস্তহারা হচ্ছে এখানকার মানুষ। আসছে বর্ষায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ, জমির ফসল, গবাদি পশু নিয়ে আছে দুশ্চিন্তায়। এদের ত্রাণ ছাড়া আমাদের কোন সহায়তা করার ক্ষমতা থাকে না। এ আঞ্চলে স্থায়ী বেড়ি বাঁধ থাকা প্রয়োজন। সেটা নেই। নেই স্থায়ী নদীর তীর ক্ষার উদ্দ্যোগ। সরকারের ত্রানসহায়তা চান না এ এলকার সাধারণ মানুষ। তারা চান হিজলা উপজেলার এ অঞ্চলগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী সামধান করুক।

435 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন