২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মধ্যনগর বাজারে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি

আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):; সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলাধী মধ্যনগর বাজারে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি। প্রশাসনের চাপে পড়ে চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চানচল্যসৃৃষ্টি হয়েছে।
অনুসন্ধানে ভূক্তভোগীরা জানান, বিগত ২/৩ মাস পূর্বে মধ্যনগর বাজার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ওই অভিযানে নেতৃত্বদেন ধর্মপাশা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবুতালেব। তিনি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় মধ্যনগর বাজার এর কেন্দ্রস্থল ডিসি খতিয়ানের প্রাচীন ও বৃহৎ একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরটি বর্তমানে পরিত্যক্ত হওয়ায় পুকুরের চতুর পাশে বাসাবাড়ীর মালিকরা একটু একটু করে পুকুরের জায়গা দখল নিয়ে রেখেছেন।
ব্যক্তি মালিকরা অবৈধ দখল চারার জন্য এসিলেন্ড আবুতালেব সময়সীমা বেধে একটি আল্টিমেটাম দেন। ওই দিন বিকালে কলমাকান্দা উপজেলার হুগলা গ্রামের রুহুল আমিন তিনি বর্তমানে মধ্যনগর বাজার শান্তিপট্টির বাসীন্দা। তিনি ওই মহল্লার বাসীন্দা সুবুধ বাবুকে রুহুল আমিনের বাসায় ডেকে নিয়ে তারা পরামস্য করেন যে, যাদের অধিনে সরকারি জায়গা রয়েছে তারা চাঁদা দিতে হরে তারা মহল্লাবাসীর সাথে পরামর্শ না করেই প্রতি বাসা থেকে ৫০০ হতে ৩০০০হাজার করে টাকা তুলেছেন বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ওই চাঁদার টাকা এসিলেন্ডকে দিতে হবে। এসিলেন্ড আবুতালেবের নাম করে টাকা তুললেও এব্যাপারে এসিলেন্ড আবুতালেব কিছুই জানেন না।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুনতাসির হাসান মধ্যনগর গেলে বিষয়টি জান্তে পেয়ে উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। পরবর্তীতে সকলের টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভোক্তভোগী মাসুক মিয়াসহ অধ্যশতাদিক প্রতারিত ব্যক্তি রুহুল আমিন ও সুবুধ বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন চাঁদার টাকা নেওয়ার জন্য একাধিক বার আমাদের কাছে এসেছে বিধায় নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে প্রশাসনের চাপে পড়ে উক্ত টাকা ফেরত দিয়েছে।
এব্যাপারে বিদায়ি সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবুতালেব চাঁদা তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বিষয়টি আমার নলেজে নেই। কে বা কারা আমার নাম ভেঙ্গে চাঁদাবাজি করেছে তা আমার জানা নেই।
মধ্যনগর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার তিনি বলেন, আমি স্থানীয় সরকার, আমাকে না জানিয়ে রুহুল আমিন ও সুবুধ বাবু প্রতিটি বাসা থেকে এসিলেন্ডের দুহাই দিয়ে চাঁদা তুলেছে বিধায় চরম অপরাধ করেছে। তারা খাস জমি বন্দবস্ত দেওয়ার কে এবং কার অনুমতি নিয়ে টাকা তুলেছে। আমি এর নিন্দা জানাই। এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবি জানাচ্ছি সরজমিন পরিদর্শনে দোষি ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

305 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন