আপডেট: আগস্ট ৯, ২০১৯
অধ্যাপক মলয় ভৌমিক। বিশিষ্ট নাট্যকার, রাজনীতিক ও সমাজ বিশ্লেষক। অধ্যাপনা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে। লিখছেন সমাজের নানা প্রসঙ্গ নিয়েও। সম্প্রতি রাষ্ট্র, সমাজ, রাজনীতির মতো বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হন । বলেন, ক্ষমতার বলয়কে কেন্দ্র করেই হিংসা, সহিংসতা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মানুষের মননে। সামাজিক অস্থিরতার জন্য অসহিষ্ণু রাজনীতিকেও দায়ী করেন এ বিশ্লেষক। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে প্রথমটি।
নানা ইস্যুতে হিংসা ছড়াচ্ছে সমাজে। প্রকাশ্যে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন কীভাবে প্রত্যক্ষ করছেন?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সচেতনভাবে জাতীয়তাবাদকে উসকে দিলেন। ইংল্যান্ডেও তা-ই দেখলাম। তার মানে ইউরোপ-আমেরিকার মানুষও পেছনের দিকে যাচ্ছে
মলয় ভৌমিক : আশির দশকের শেষের দিকে সামাজিক অসঙ্গতির কিছু বিষয় আমরা লক্ষ্য করতে থাকি। সেই লক্ষণগুলো এখন প্রায়োগিক পর্যায়ে দেখছি।
আরও পড়ুন > শিক্ষায় গলদ আছে বলেই সমাজে বর্বরতা বাড়ছে
সমাজে যে পরিবর্তন ঘটছে, তার মূলে রয়েছে রাজনীতি। এজন্য বৈশ্বিক রাজনীতিকেও সামনে আনতে হবে। বিশ্বমোড়ল তথা, যেসব দেশকে অনুসরণীয় মনে করা হয়, সেসব দেশেও উল্টোযাত্রা শুরু হয়েছে আগে থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ নিউক্লিয়ার বোমা থাকার অভিযোগে ইরাকে হামলা করল। আমেরিকার শতভাগ মানুষ শিক্ষিত। অথচ তাদের মধ্যকার অধিকাংশ মানুষই ইরাকযুদ্ধে সমর্থন দিয়ে বসল। পরে ইরাকে কোনো নিউক্লিয়ার বোমাই পাওয়া গেল না।
এমন মিথ্যার বেসাতি প্রত্যেক সমাজেই গুরুত্ব পাচ্ছে। ভয়ের কথা এখানেই। আমরা সভ্যতার এমন সময়েও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব শুনলাম।
সমাজ, রাষ্ট্রে প্রচণ্ডভাবে মোসাহেবি বা তোষামোদকারী তৈরি হয়েছে। আর সুশীল, বুদ্ধিজীবীরাই এদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ সমাজ কিছু বিষয়কে ফেলে এসেছে। অথচ সেই ফেলে আসা বিষয়গুলোকে পরিকল্পিতভাবে উসকে দেয়া হচ্ছে। যেমন- সাম্প্রদায়িকতা বা অতিধর্মীয় গোঁড়ামিকে ফেলে আসা