২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মানুষের নিউরনের মতো কাজ করবে মধুর তৈরি চিপ

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২২

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:; মধু থেকে তৈরি হবে কম্পিউটার চিপ। যা কাজ করবে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনের মতো। কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। তবে শুধু গণনার কাজেই নয় কম্পিউটারের এখন বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। তবে এবার একেবারে মানুষের নিউরনের মতো কাজ করবে কম্পিউটার। তেমনি একটি চিপ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। যা তৈরি হবে মধু দিয়ে।

এমনই অবাক করা তথ্য সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘জার্নাল অব ফিজিক্স ডি’। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের একদল গবেষক এই চিপ তৈরি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক ফেং জাও এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গবেষকদের দলের প্রধান ছিলেন

এটি অনেকটা ট্রানসিসটরের মতো। এর সাহায্যে শুধু ডেটা প্রসেস হবে তাই ই নয়, মেমোরিতেও ডেটা স্টোর করা যাবে। লেং জাও বলেন, এটি খুবই ছোট একটি যন্ত্র। তবে মানুষের নিউরনের মতো কাজ করতে সক্ষম এটি।

আকারে ছোট কোটি কোটি মধুর স্মৃতি সংরক্ষক যন্ত্রকে একত্রে সংযুক্ত করলে তা নিউরোমোরফিক সিস্টেম তৈরি করবে। যা মানব মস্তিষ্কের মতো কাজ করবে। ট্র্যাডিশনাল কম্পিউটারের এই নিউরোমাফিক সিস্টেম অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে অনেক কম শক্তি খরচ হবে বলেও জানান এই গবেষক।

এই গবেষণার জন্য ফেং জাওয়ের সঙ্গে মূল গবেষক হিসেবে রয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ব্রান্ডন সুওকা। জাওয়ের ল্যাবে এই পরীক্ষাটি করা হয়। মধুকে তরল থেকে কঠিন করে স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হয় প্রথমে। এরপর দুটি ধাতব ইলেক্টরয়েডের মধ্যে তা অনেকটা স্যান্ডউইচের মতো রাখা হয়।

হাই সুইচিং অন এবং অফ স্পিডে ১০০ ও ৫০০ ন্যানো সেকেন্ডের থাকবে।এই মেমোরিস্টররা স্পাইক-টাইমিং ডিপন্ডেন্ট প্লাস্টিকসিটি ও স্পাইক- রেট ডিপেন্ডেন্ট প্লাস্টিসিটি নামে পরিচিত। যা মানুষের মস্তিষ্কে শেখার প্রক্রিয়া ও নিউরোনে নতুন তথ্য ধরে রাখার কাজ করে।

মধু থেকে তৈরি চিপগুলো একটি মাইক্রো স্কেলে তৈরি হয়েছে। যা মানুষের চুলের সাইজের মতো। তবে বিজ্ঞানীরা একে ন্যানো স্কেলে তৈরি পরিকল্পনা করছেন। সেক্ষেত্রে মানুষের চুলের ১০০০ ভাগের ১ ভাগ হবে এই চিপের সাইজ।

যেহেতু মধু নষ্ট হয় না এবং এতে আর্দ্রতার ঘনত্ব খুবই কম। তাই এতে ব্যাকটেরিয়া টিকে থাকতে পারে না। অর্থাৎ এই কম্পিউটার চিপগুলো দীর্ঘ সময় টিকে থাকবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই আবিষ্কারকে আলোর মুখ দেখাতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

127 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন