২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ধর্মপাশায় ১০টাকা কেজির চাল কালো বাজারে পাঁচার

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২২

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ):: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (১০ টাকা কেজির) চাল কালো বাজারে পাঁচার) তালিকাভূক্ত কার্ডধারিদের মধ্যে বিতরন না করেই সমস্ত চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের ডিলার ছিদ্দিক মিয়া। সে বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মি বিধায় সরকারের ভাবর্মূর্ত্তি ক্ষুর্ণ করছে। এসব চাল চুরদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনার জন্য ভূক্তভোগীদের দাবি।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিন ইউনিয়নের ডিলার ছিদ্দিক মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজির চাল তালিকা ভূক্ত কার্ড ধারিদের মধ্যে ৪নং ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামে নাম মাত্র চাল বিতরন করেই সমস্ত চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ডিলারের অধিনে ১,৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২৫৮ জন দুস্ত কার্ডধারি। এসব খাদ্য সহায়তার আওতায় প্রতি ১০টাকা কেজি ধরে ৩০০টাকায় ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও ওই ডিলার পুকুর চুরি করে আসচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপির চারটি ওয়ার্ডে ২৫৮ জন কার্ডধারির বিপরীতে ৭মেট্রিক টন ৭৪০কেজি চাল গত ১৭ এপ্রিল ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ৭ মেট্রিক টন ৭৪০ কেজি চাল উত্তোলন করে তার বিক্রয় কেন্দ্র দৌলতপুর বাজারে নিয়ে যায়। পর দিন ১৮ এপ্রিল সোমবার ১নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামের কয়েক জন প্রতি কার্ড ধারির মাঝে ৩০০ টাকার বিপরীতে ৩০ কেজি চাল দেওয়া কথা থাকলেও ওই অসাধু ডিলার ওজনে কমদিয়ে (২৭ হতে ২৮) কেজি করে কিছু চাল বিতরন করা হলেও খবর পেয়ে পরদিন কার্ডধারিরা চালের জন্য দৌলতপুর বাজারে এসে ডিলার ছিদ্দিক মিয়াকে না পেয়ে খালিহাতে চলে যায় অসহায় কার্ডধারি মহিলা-পুরুষ।
এব্যাপারে গতকাল ২১ এপ্রিল ডিলার ছিদ্দিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মাত্র ২৫৮টি কার্ড এর বিপরীতে ৭ মেট্রক টন ৭৪০ কেজি চাল উত্তোলন করে পর দিন ১৮এপ্রিল এক দিনই সমস্ত চাল বিতরন করেছি।
এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৫৮জন কার্ডধারির মধ্যে মাত্র ৫০ হতে ৬০ জনের মধ্যে কিছু চাল বিতরন করে বাকী সমস্ত চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডিলার ছিদ্দিক মিয়ার নিজ বাড়ী ৫ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তারপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামে ২৫ হতে ৩০ জন কার্ডধারি থাকলেও তারা এখন পর্যন্ত জানে না যে, তাদের নামে খাদ্য সহায়তার কার্ড রয়েছে। মুক্তারপুর গ্রামের তালিকাভূক্ত কার্ডধারি জালাল উদ্দিন , নাজমা, সালমা বেগম, নাজির হোসেন, মোনতাজ আলী, চাম্পা বেগম, ফজেদা খাতুন, মোমেন খাঁ, লিয়াকত আলীসহ ওই গ্রামের ২৫ হতে ৩০ জন কার্ডধারী আইডি নম্বর রেজিষ্টারে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে অসাধু ডিলার ছিদ্দিক মিয়া খাদ্যবান্ধ কর্মসূচির চাল উত্তোলন করেই কালোবাজারে বিক্রি করে আসচ্ছে বলে তার বিরুদ্ধে অগনিত অভিযোগ রয়েছে।
ঘুলুয়া গ্রামের কার্ডধারী আব্দুল হাসিম, শাহিন মিয়া ও উষা রানীসহ ১০-১৫ জন সুবিধাভোগী কাডধারী বলেন মুক্তারপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া নামের ডিলার গত মার্চ ও চলতি এপ্রিল ওই দণন মাসের চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করেছে। আর আমাদেরকে বলছেন ১০ টাকা কেজির চাল সরকার এখনো চালু করেনি। সরকার থেকে বরাদ্দ আসলেই খাদ্য গুদাম থেকে ১০ টাকা কেজির চাল উত্তোলন করে আপনাদের মধ্যে বিতরন করা হবে। মুক্তারপুর গ্রামের কার্ডধারী জালাল উদ্দিন, নাজমা, মোনতাজ আলীসহ ২৮ জন কার্ডধারী ডিলার ছিদ্দিক মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন ১০টাকা কেজির চালের তালিকায় আমাদের নাম থাকলেও ডিলার কোন দিন আমাদেরকে বলেনি। আমরা কোনদিন ১০ টাকা কেজির চাল পাইনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুনতাসির হাসান বলেন তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমানিত হলে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

160 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন