২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাঁচা মরার লড়াইয়ে হিজলার দঃ বাউশিয়া সাইক্লোন সেল্টারকাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

আপডেট: মে ১৬, ২০২২

সাইফুল ইসলাম, হিজলা :: হিজলা উপজেলা রক্ষা বাঁধের জন্য ৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব
মিজানুর রহমান মাসুদ। ইতোমধ্যে উপজেলা রক্ষার জন্য টেন্ডা আহব্বানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন। তর সইছে না প্রমত্তা মেঘনা। ভাঙ্গনের মুখে দঃ বাউশিয়া সাইক্লোন সেল্টারকাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হতাশ ইউএনও।

বছরের পর বছর হিজলা উপজেলার পার্শ্ব বর্তী গ্রাম মেঘনার ভাঙ্গনে বিলিন। এখন হুমকীর মুখে হিজলা
উপজেলা। ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই এখানে। বছরের পর বছর আশ্বাস আর বিশ্বাসের দোলাচালে হতাতাশ এখানকার জনগণ। অবশেষে হিজলা উপজেলার কৃতিসন্তান মিজানুর রহমান মাসুদ এর আশ্বাসে বিশ্বাস মেলে উপজেলা রক্ষা বাঁধে।
তর সইছে না মেঘনা।রাক্ষুসে মেঘনা এখন দক্ষিণ বাউশিয়া সাইক্লোন সেন্টার কাম সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়টিকে গিলে খেতে শুরু করছে।


এ্যাঃড মাহাবুবুল আলম দুলাল জানান, ১০ মে হিজলা উপজেলার উপজেলা রক্ষা বাঁধের জন্য রুরী ভিত্তিতে
৩ কোটি এবং পুরাতন হিজলা বন্দর রক্ষার জন্য ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প টেন্ডার সমাপ্ত হয়েছে। এখন
বাস্তবায়নের কাজ।তিনি আশা করছেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এখানে জিও ব্যাগের ডাম্পিং এর কাজ
দৃশ্যমান হবে।এ বিষয় তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান মাসুদ এবং পানিসম্পদ
প্রতিমন্ত্রি জাহিদ ফারুক শামিমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকে সচিবের নিকটাত্মীয় জানান, আমরা আশাবাদি এ প্রকল্পটি অতিশিগ্র হিজলায় দেখতে
পাব। স্কুল রক্ষা করা যায় কি না জানি না, রক্ষা হবে আশাবাদী।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আঃ গাফ্ফার জানান, গেল বছর বিদ্যালয়টির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে
রেখেছেন।পার্শ্বের মধ্য বাউশিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারটিও চোখের সামনে বিলীন
হয়েছে।এটির অবস্থাও তাই।এক সপ্তাহ আগেও বিদ্যালয়টির অবস্থা ভাল ছিলে এখনও ক্লাস চলমান এদিকে
হুমকীর মুখে প্রতিষ্ঠানটি।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুলচন্দ্র কবিরাজ ১৫ মে এবং শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে পরিদর্শনে
আসলে জানান, বিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রেখেছেন। এতো ঝুকির মধ্যে স্কুল রক্ষা
কতটুকু সম্ভব তিনিও সন্ধিহান। ৬ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে তাও তিনি অবগত। এখন বাঁচা মরার
লড়াইয়ে বিদ্যালয়টি কতটু টিকতে পারে তা জানেন না।

411 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন