আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২২
আপডেট:
হিজলা প্রতিনিধি :: হিজলায় স্ত্রীর পরকীয়া স্বামীর হাতে ধরাপরে। স্থানীয় জনতা রাতেই প্রেমিক জিহাদ মোল্লাকে আটক করে। রাতে ইউনিয় পরিষদের সমনে বেধে রাখে। প্রভাবশালীদের চাপে অর্থের বিনিময়ে রাতেই রফা দফা।
সূত্রে জানা যায় হিজলা উপজেলার হিজলাগৌরব্দী ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামের বাকের শিকদার স্ত্রীর ১ সন্তানের জননীর সাথে একই গ্রামের জিহাদ মোল্লার সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক।
স্থানীয় শহিদ মৃধা, দিন মোহাম্মদ মাঝি, সেকান্দার মৃধা, ফরিদ মোল্লাসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান,২১ জুলাই শুক্রবার রাতে কালাম মোল্লার পুত্র জিহাদ মোল্লাকে অনৈতিক সম্পর্ক অবস্থায় আটক করে পরকিয়ার স্বামী বাকের হোসেন।বাকের রাতে স্থানীয় একটি মাছঘাটে টিভি দেখছিলেন। রাতে এসে তার স্ত্রীর সাথে জিহাদের অনৈতিক সম্পর্ক অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। একপর্যায় ঘরের বেড়া ভেঙ্গে পালাতে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি।
বিষয়টি রাতেই চাউর হলে জিহাদকে মান্দ্রা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বেধে রাখে স্বামী বাকের সহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। রাতেই ইউনিয়ন কাবিন রেজিষ্ট্রার কাজিকে ডেকে নেয়া হয় স্ত্রীকে ডিভোর্সের জন্য।
স্থানীয় কাজি আবুল কালাম আযাদ এবং কাজির সহকারি শরিফ জানান, ইউপি সদস্য ফারুক মাঝি, ইউপি সদস্য জসিম ও ফকরুল ইসলাম তাদেরকে ডেকে নেন। ছেলের ভোটার আইডি এবং স্থানীয় জটলার কারণে তারা ডিভোর্স রেজিষ্ট্রি না করে রাত ৩ টার দিকে ফেরত আসেন তারা।
ইউপি সদস্য ফারুক মাঝি জানান,পরবর্তীতে উভয়পক্ষের সহযোগিতায় মিটমান করা হয়। ছেলেকে বেশ উত্তম মাধ্যও দেয়া হয়। ঐ রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজিকে ডাকা হয়, কাজিকে ফেরত পাঠানো হয়।।
ফকরুল ইসলাম জানান, এমন কোন ঘটনা এখানে হয়নি।রাতে কেন জিহাদকে বেধে রাখা হলো এমন প্রশ্নে নিরুত্তর তিনি।
পরকিয়ার স্ত্রীর স্বামী বাকের হোসেন জানান, নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক ভুল বোঝাবুজির কারণে একটু জটলা হয়েছে। স্থানীয় নেতা ফকরুল এবং মেম্বার ফারুক রফা দফা করে দেন। কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জানান, কিছু না হলে কি মিল হয় ! কত টাকা লেন দেন হয়েছে ? এমন প্রশ্নে নিরুত্তর বাকের।
জিহাদ জানান, সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য একটি মহল তাকে হেয় করেছে। এমনকি তাকে মারধর করা হয়েছে।
