২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঠিক হয়ে গেলো সেমিফাইনালের চার দল শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হলো পাকিস্তান

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক:: আগেরদিনই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাম লিখে নিয়েছিল ভারত। ছিটকে পড়ে পাকিস্তান। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও লাভ হতো না বিসমাহ মারুফদের।

কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় তো দুরে থাক, রীতিমত রেকর্ড পরাজয়ে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারদের কাছে রেকর্ড ১১৪ রানের ব্যবধানে পরাজিত হতে হলো পাকিস্তানকে।

যদিও শক্তির বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। এ কারণে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের পক্ষে বাজি ধরার মত ছিল না কেউ। তবে হারলেও পাকিস্তানের কাছে লড়াই করে হারের প্রত্যাশাই করেছিলো সবাই। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো, আত্মসমর্পণই করেছে পাকিস্তানের মেয়েরা।

সেমিফাইনালে গ্রুপ ‘এ’ চ্যাম্পিয়ন পেয়েছে গ্রুপ ‘বি’ রানারআপ ভারতের মেয়েদেরকে। অন্য ম্যাচে গ্রুপ ‘বি’ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড পেয়েছে গ্রুপ ‘এ’ রানারআপ দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামবে ভারতের বিপক্ষে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে চার-ছক্কার ঝড় তুলে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ইংলিশরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান সংগ্রহ করে তারা। পালটা জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানকে ১০০ রানের গণ্ডিও টপকাতে দেননি হেদার নাইটরা।

চলতি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটিই কোনো দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এমনকি ইংল্যান্ডও এই প্রথম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০০ রানের গণ্ডি পার হয়।

ইংল্যান্ডের হয়ে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ড্যানি ওয়াট ও ন্যাট সিভার ব্রান্ট। ৩ কোটি ২০ লক্ষ রুপির বিনিময়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেওয়া ন্যাট সিভার তো রীতিমত ঝড় তোলেন। মাত্র ৪০ বলে করেন ৮১ রান। ১২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ড্যানি ওয়াট ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ৫৯ রান করেন।

এছাড়া ৩১ বলে ৪৭ রান করেন অ্যামি জোনস। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের ফতিমা সানা ২টি এবং সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার ও তুবা হাসান ১টি করে উইকেট দখল করেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৯ উইকেটের হারিয়ে ৯৯ রানে আটকে যায়। শেষের দিকের ব্যাটার তুবা হাসান সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। এছাড়া ফতিমা সানা ১৬, সিদরা আমিন ১২ ও নিদা দার ১১ রান করেন। ইংল্যান্ডের ক্যাথেরিন ব্রান্ট ও চার্লি ডিন ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন ন্যাট সিভার, সারা গ্লেন ও সোফি একলেস্টোন।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের ১১৪ রানের জয়ই বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। সেদিক থেকে পাকিস্তান লজ্জাজনক নজির থেকে মুক্তি দিলো থাইল্যান্ডকে। এতদিন নারী টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল থাই মেয়েদের। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১১৩ রানে হেরেছিল থাইল্যান্ড। সঙ্গত কারণেই ন্যাট সিভার ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।

55 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন