২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

মধ্যনগরে বাঁধের কাজ ৭৫% ধর্মপাশায় ৯৬% বাস্তবায়ন হয়েছে

আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩

গিয়াস উদ্দিন রানা,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ থেকে::সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ বাস্তবায়ন অনিশ্চিত। বেধে দেওয়া সময় সিমার ১৪ দিন ফেরিয়ে গেলেও ৭৫ ভাগ কাজও বাস্তবায়ন হয়নি। পিআইসিরা টাকার বিনিময়ে প্রকল্প নেওয়ায় তাদের খেয়াল খুশি মতে কাজ করছে।
ধর্মপাশা উপজেলায় ১২০টি প্রকল্পের মধ্যে ১১২ টি প্রকল্পের কাজ ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। জান্ত্রিক ক্ষুটির কারনে ৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। ওই ৮টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারী কাজ শেষ করার কথা থাকলেও হাওরের পানি নামতে বিলম্ব হওয়ায় নিচু স্থানের পিআইসিরা সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারায় ৭ দিন সময় ভাড়ানোর হয়েছে। এখন বাঁধের ¯েœাপে দুর্বা ঘাস লাগানো চলমান থাকলেও মধ্যনগরে ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে ২৩ ও ক্লোজার ও গুড়মা প্রকল্পের ২৮নম্বর পিআইসির প্রকল্পসহ ৩৮টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে কৃষক ও পিআইসি সূত্রে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) (২০২২-২৩ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-১, বাপাউবো, জেলাধীন চন্দ্রসোনার থাল, ধানকুনীয়া, সুনামড়ল, জয়ধনা, কালীয়ানী হাওরসহ ছোট বড় ৭টি হাওরে ফসল রক্ষাবাঁধ বাস্তবায়নে ১২০ টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হলেও ৬৯, ৫৩, ৫৪, ৫০, ৫২, ৫৩, ৫৪ ও ৮৪ নম্বর পিআইসি, পাউবোর নীতিমালা লঙ্ঘন করে, সাবেক বাঁধের উঁচু মাটি ভ্যাকো মেশিন দিয়ে আচরায়ে ওই মাটির সাথে নাম মাত্র বালু মিশ্রিত ভেজা মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মান করছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে গুড়মা ও কাইল্যানী হাওরের একাধিক পিআইসি অভিযোগ করে বলেন, এ বছর আমরা বলির পাঠা হয়েছি। প্রতিটি প্রকল্প দেড় হতে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রকল্পের কাজ পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, প্রকল্প গুলো অনুমোদনের পর আমি এসেছি। আমাদের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান খুব দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে আমিও মনিটরিং করে পিআইসিদের তাগিদ দিয়েছি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ অলিদুজ্জামান বলেন, হাতে গুনা দু একটি প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ৪/৫ দিন সময় লাগতে পারে। বাকী সব গুলো প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। পাউবো উপ সহকারী প্রকৌশলী ও কাবিটা প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৭দিন সময় ভাড়ানো হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্লোপে দুর্বা ঘাস লাগানো চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৬ শতাংশ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে।
এধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী নাহিদ হাসান খান বলেন, প্রকল্প গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রতিদিন মনিটরিং করছি। সহকারী প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন বলেন, অসম্পূন্ন প্রকল্প গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমাদের মনিটরিং অব্যহত রয়েছে।

103 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন