২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

হিজলার মেঘনায় জনতার হাতে ৬’ডাকাত আটক্।।পাকরাও করে পুলিশে

আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩

হিজলা প্রতিনিধি :: হিজলার মেঘনায় অহরহ ডাকাতি। শাওন এবং তোতা নামের দুই ডাকাত আটক করে স্থানীয়রা।পালিয়েছে ৪ ।এরা প্রত্যেকে বামনেরচর এবং শরিফেরচর(জয়নগর)এলাকার চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের লোক। তাদের ছত্রছায়ার মেঘনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

অতিষ্ট এলাকার জেলে পরিবার।প্রতিনিয়ত মেঘনায় চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরা সংঘটিত হচ্ছে। দায় নিচ্ছে না কেউ। নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড নিয়মিত নৌ টহলে থাকলেও এদের দমাতে পারছে না কেউ।

চলতি মাসের চার দিনের প্রতি রাতে সংঘটিত হচ্ছে মেঘনায় ডাকাতি। সোমবার রাতে বাহেরচরের কোরবানের রাস্তার মাথায় জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি কালে স্থানীয়রা ধাওয়া করে দু ডাকাত পাকরাও করতে সক্ষম হয়। দরিচর খাজুরিয়া(বামনেরচর) এবং শরিফেরচর(জয়নগর) এলাকার একটি ডাকাত দল প্রতিনিয়ত এ ডাকাতি করছে বলে দাবি করেন স্থানীয় জেলে ইব্রাহিম, রাকিব, বেল্লালসহ একাধিক জেলে। তাদের দাবি এরা পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় মেঘনায় এমন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এদের সাথে রয়েছে প্রশাসনের সখ্যতা। বার বার বিষয়টি প্রশাসনের নজলে আনলও আমলে নিচ্ছেনা তারা।

কাজিরহাট থানা পুলিশের এসআই প্রদিপ জানান জয়নগর এলাকায় স্থানীয় জনতা ৪ ডাকাত আটক করে পুলিশে খবর দিলে জনতার কাছ থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আশা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য হিজলা হাসপাতালে আনা হয়েছে।

হিজলা থানা পুলিশ জানিয়েছে তাদের বাউশিয়া এলাকার জনতা রাতে গণধোলাই দিয়ে ২ ডাকাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরা হলেন কাজির হাট থানার বামনেরচর এলাকার ০১. ফরহাদ মোল্লা, ০২. হোচেন মোল্লা,০৩. আলাউদ্দিন গাজি,০৪. তারেক দেওয়ান,০৫.রুহুলআমিন দেওয়ান এবং ০৬. শহিদ মেম্বার পুত্র শাওন। এরা প্রত্যেকে পুলিশের খাচায়। পুলিশ জানায় এদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমার নয়েছে। রুহুলআমিন দেওয়ান ও মেম্বার পুত্র শাওন পেশাদার ডাকাত। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।তবে রুহুল আমিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে ১০টি মামলার তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে।

রুহুলআমিন দেওয়ান জানান, তারা ৮জন জাল বাইতে গেলে তাদের জনতা মারে। দুইজন পালিয়ে যায় তাদের নাম জানেনা।

395 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন