আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
সাইফুল ইসলাম :: হিজলায় জাইকার লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয়। সাড়ে শোল লক্ষ্য টাকার কাজ নিয়ে কারসাজি করছে হিজলার জাই কার প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রকৌশলী ।প্রতিটি স্ট্রিট বাতির হিসাব মিলাতে পারছে বড়জালিয়ার জনগণ। মামা বাড়ির আবদার, চাইলেই পাওয়া যায় এমন বক্তব্য উপজেলা প্রকৌশলী সুকদেব বিশ্বাসের।
সূত্র দাবি করছে, উপজেলা সদর বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টেকের বাজার হয়ে বাস্তহারা কলোনি থেকে হিজলা সরকারি কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় আলোকিত করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ২৫ টি ইস্ট্রিট বাতি বসানোর কথা রয়েছে জাইকার। সেখানে কোন বাতির অস্তিত্ব নেই।
জাইকা প্রতিনিধ অহিদুজ্জামান জানান, বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে একটি বরাদ্দ ছিল। বরাদ্দ মোতাবেক বাতিগুলো স্থাপন করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে দুই একটি এদিক সেদিক হতে পারে। এমন বক্তব্য ওয়াহিদুজ্জামানের।
স্থানীয় শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার গ্রামটি পতিত । উপজেলার পাশে অন্ধকারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও জামে মসজিদ । গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে নেইবাতি। এখানে বাতি বসানোর কথা ছিল, বাস্তবতা ভিন্ন। শিক্ষক জানান আমরাও শুনছি এখানে বাতি বসানোর কথা বাস্তবে নেই। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয় হয়। আমজনতার ভাগ্যে জোটে না। কাগজে কলমে সব ঠিক।
সাবেক ইউপি সদস্য খালেদা খানম জানান, তার বাড়ির কাছে একটি লাইট পোস্ট খনন করেও স্থাপন করেনি কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারকে প্রশ্ন করলে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করতে বলেন।
উপজেলা সদর জামে মসজিদের সামনে একটি লাইট পোস্ট বসানোর আবেদন করলে তাও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অর্থের বিনিময়ে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের৷ আর্থিক সুবিধার্থে স্থাপন করেন তারা। এমন অভিযোগ মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
মামা বাড়ির আবদার,চাইলেই পাওয়া যায়। উপজেলা প্রকৌশলী শুকদেব বিশ্বাসের এমন বক্তব্যে অনিয়মের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। তার দাবি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বাতিগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
জায়িকা প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান নির্ধারিত স্থানে স্থাপন পূর্বক বিল প্রস্তুত করেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালী জানান। উপজেলায় জাইকার ৫০টি লাইট পোস্ট বসানোর কথা। ২৫ টি গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নে এবং ২৫ টি বড় জ্বালিয়ে ইউনিয়নে স্থাপন করার কথা রয়েছে। বড়জালিয়ার ২৫ টির তথ্য এখন পর্যন্ত তার দপ্তরে জমা হয়নি। ঠিকাদার তুষার এরসাথে ফোনে আলাপ করতে চাইলে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।
বড় জ্বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, তার ইউনি়য়নে মাত্র ৭টি লাইট পোস্ট বসানো হয়েছে এর বেশি কিছু জানিনা।
ঠিকাদার তুষারকে বারবার ফোন দিলেও ফোন ধরেননি।