২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঝালকাঠিতে-দুর্নীতিসহ ৯ অভিযোগে ইউএনও’র বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪

বিজয় নিউজঃঃ অনিয়ম-দুর্নীতি, অসদাচরণসহ ৯টি অভিযোগ তুলে ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ৮ জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নলছিটি উপজেলার ৩ নম্বর কুলকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসারণের দাবি করা হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন জনপ্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি-২ (ঝালকাঠি সদর-নলছিটি) আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নলছিটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান শাহীন,  ১ নম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম আব্দুল হক,  ২ নম্বর মগড় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হোসাইন,  ৫ নম্বর সুবিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান গফ্ফার খান, ৬ নম্বর কুশঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ৭ নম্বর নাচনমহল  ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সেলিম ও দপদপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে টিআর, কাবিখা প্রকল্প দীর্ঘদিন ছাড় করেননি। উপজেলা পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে না করে ইচ্ছেমতো অর্থ ব্যয় করেন। ৩. উপজেলা পরিষদ মাসিক সমন্বয় সভার জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় না এবং রেজুলেশনের লিপিবদ্ধ করা সকল বিষয় আলোচনা করা হয় না। ইউএনও নিজের ইচ্ছে মতো রেজুলেশন করে থাকেন। এছাড়া মহান বিজয় বিদসের কর্মসূচির নামে ৩০ লাখ টাকা চাদাঁবাজী করে নিজেই নিয়েছেন। তিনি টিআর-কাবিখার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ না করাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। গৃহহীনদের নামে সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।  উপজেলা পরিষদের নারিকেল ও মাছ বিক্রি করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা পরিষদে শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ যথাযথ ভাবে হয়নি।
৯টি অভিযোগের বিষয়ে নলছিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অমি যোগদান করেছি। ৪ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছি। ওই সময়ে টিআর-কাবিখা হয়েছে বলে আমার নজরে নেই। উপজেলা পরিষদের আমি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, সভাপতি পদে থাকেন চেয়ারম্যান। তাই চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কিনা আমার জানা নাই। এছাড়া রেজুলেশনে উত্থাপন না করে ব্যয় করার সুযোগ নাই। ত্রিশ লাখ চাঁদায়ের বিষয়টি বাস্তবসম্মত না। চেয়ারম্যানদের দাবি সমান হারে টাকা বরাদ্দের কিন্তু টিআর-কাবিখার সুষম বন্টন হবে জনসংখ্যা ও আয়তনের ভিত্তিতে। কোন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে আমি জানি না। ঘর বরাদ্দ প্রসঙ্গে বলেন, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নলছিটিকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে যোগদান করেছি। জনপ্রতিনিধিদের আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। প্রয়োজনে সাংবাদিকরা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেও দেখতে পারে বলে জানান তিনি।#
50 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন