২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চুরি! না ভিন্ন কিছু

আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২৪

মারুফ হাওলাদার :: হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের তীর ইপিআই টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে।  বিষয়টির দায় নিচ্ছে না কেউ।
স্বাস্থ্যকর্মী সুলাইমান, ফরিদ উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার সহ একাধিক কর্মী জানান, ইপিআই টেকনিশিয়ান লোকমান হিজলায় যোগদানের পর থেকেই বেপরোয়া। অফিসের মালামাল চুরি, অর্থ আত্মসাৎ, কর্মীদের ভাতা সহ বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি করে আসছিল লোকমান হোসেন । ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও হালে পানি যায়নি। এবার চাকরি থেকে অব্যাহতির পর গোপনে রাতের আঁধারে অফিসে ঢুকে ফাইলপত্র সহ বিভিন্ন জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে যায় লোকমান। ধরা পড়ে ভোটারদের হাতে।
সূত্রে জানা যায়, হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেন ৩ নভেম্বর বিদায় নেন হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে। একই দিন ওই দায়িত্ব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাজেদুল ইসলাম কাউসার  দায়িত্ব বুঝে নেন। একইদিন আবার একই দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন স্বাস্থ্যকর্মী বশির উল্লাহকে।
৪ নভেম্বর ভোর পাঁচটার দিকে ইপিআই,র রুম খুলে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যান ইপিআই টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেন ও তার শ্যালক। দু তিনটি ব্যাগ বস্তা ভর্তি করে নিয়ে পালিয়ে যায় । তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। এমন অভিযোগ পোটার সাইফুল ইসলাম ও সুলতানের।
স্বাস্থ্যকর্মী বশিরুল্লাহ জানান, এমন কথা শুনেছেন এবং তাৎক্ষণিক টি এইচ ও কে অবহিত করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কাউসার জানান, তিনি এসেছেন এমনটা শুনেছেন। রুম  পরিদর্শনা করা হয়েছে। কি কি খোয়া গেছে এমনটা এখনই বলতে পারছি না। দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেয়ার পর আপনার অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা কতটুকু সমীচীন। এমন প্রশ্নে ডাক্তার কাউসার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
ইপিআই টেকনিশিয়ান লোকমান হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে চাইলেও উত্তর দেননি তিনি।

425 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন