আপডেট: মার্চ ২২, ২০২৫
আপডেট:
স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ বরিশালে যুবদল নেতা মেহেদী সিকদার ও ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়কের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনার মিমাংসাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার বুখাইনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম মাসুমের ইন্দনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ভূক্তভোগীসহ স্বজনদের। তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মাসুম। এদিকে যুবদল নেতা মেহেদীকে কোপানোর ঘটনায় জড়িতদের স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত মেহেদী সিকদার বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ও বুখাইনগর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আরেক আহত শামীম হোসেন একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, ২৫ টাকা পাওনা নিয়ে দ্বন্দ্বের মিমাংসায় গিয়েছিলেন আহত ও অভিযুক্তরা। শনিবার দুপুরের মিমাংসা শেষে মতের অমিলের কারণে ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে থাপ্পর দেয় বাদল খান। বাদল আগে আওয়ামী লীগ করলেও এখন বিএনপি নেতা মাসুমের সমর্থক। ঘটনার সময় বাদলকেও ধাক্কা দেয় আহত শামীম। এরপর বাদলসহ কয়েকজন শামীমকে ধরে পাশের গলিতে নিয়ে রড় দিয়ে পেটাতে থাকে। তখন শামীমকে উদ্ধারে গেলে যুবদল নেতা মেহেদীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বাদল ও জিহাদ।
বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আকবর মুবিন বলেন, বহিরাগত তামিম নামে এক ব্যক্তির কাছে বুখাইনগর বাজারের দোকানদার রনি ২৫ টাকা পেত। সেই টাকা চাওয়ায় দোকানদার রনিকে কয়েকদিন আগে মারধর করে তামিম। সেই ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেন রনি। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে পুলিশ বাজার কমিটির নেতাদের বিষয়টি মিমাংসা করতে বলে। এরপর শনিবার মিমাংসা বসে বাজার কমিটির নেতা ও স্থানীয়রা। মিমাংসার একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতা শামীমকে থাপ্পর দেয় বিএনপি নেতা মাসুমের অনুসারী বাদল খান। এর কিছু সময় পর দল বাদল খান, তুহিন, তামিমসহ বেশ কয়েকজন শামীমকে পাশের একটি গলিতে নিয়ে রড দিয়ে মারধর শুরু করে। তখন শামীমকে উদ্ধার করতে মেহেদী ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বাদল ও জিহাদ কুপিয়ে মেহেদীকে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মেহেদী সিকদার জানান, মাসুম বিএনপি নেতা হয়েও আওয়ামী লীগের লোকজনকে শেল্টার দেয়। তার নেতৃত্বে তার দুই ছেলেসহ বাদল, তুহিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে দা এনে কুপিয়ে আহত করে।
চরমোনাই ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘আমি বাজারে গিয়েছি শালিস মিমাংসা করতে। মারধরের কোন ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না’।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় মেহেদী শিকদারের পরিবারের সবাই থানায় এসেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#