আপডেট: মে ৩১, ২০২৫
বিজয় নিউজ ডেস্ক :: ফসলী জমিতে ইট ভাটার মাটি কাটার মহা উৎসব। কোর্টে মামলা করেও প্রতিকার পায়নি ভূক্ত ভোগি পরিবার। বিলীন হচ্ছে তিন ফসলী জমি।
২৫ মে রবিবার উপজেলা সদর কাসিমা বাজার এলাকায় নদীর পাড়ে ভেকু দিয়ে ইট ভাটায় মাটি কাটছিল প্রভাবশালী একটি মহল । এতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কবির বেপারী , সুলতান ব্যাপারী, আলতাফ কাজী, এলেম কাজী, সালাউদ্দিন কাজী সহ সন্ত্রাসী ৫০ জনের একটি গ্রুপ। এরা প্রত্যেকে একটি নির্দিষ্ট দলের সদস্য।
অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় বাধা প্রদান করেন সবুজ ঢালী,মনিরুজ্জামান বয়াতি, নুরুজ্জামান বয়াতি, আলতাফ সিকদার একটি গ্রুপ। এই মাটিগুলো স্থানীয় ইটভাটার মালিক কাঞ্চন ব্যাপারীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। লাঠিয়াল এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশ তারা। তাদের অভিযোগ হিজলা থানার এস আই আরাফাত হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিকাটা বাধা দেয়। তবে আটক করেনি ভেকু, ট্রলি। বেকু মেশিন ছেড়ে দিয়ে আসেন তিনি । হতাশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একটি পক্ষের কাছে জিম্মি হয়েছে এস আই আরাফাত ।
কেএসসি ইট ভাটার মালিক কাঞ্চন বেপারী জানান না। ওই মাটি কারা কিনেছেন তাও তার জানা নেই। শুধুই তাকে ঝরানো হয়েছে।
অপরদিকে স্থানীয় কৃষকদের দাবি, ফসলি জমির মাটি কাটার অধিকার কারোরই নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন কৃষকের স্বার্থ দেখছেন না। দেখছেন অবৈধ ইটভাটার মালিকদের স্বার্থ। আমরা অসহায় কৃষক। মানুষের মুখের খাবার জোগাই, এখান থেকে। তাও বন্ধ করে দিল অবৈধ ইটভাটা। আদালতের আশ্রয় নিয়েও ফসলি জমি রক্ষা করতে না পারা দুঃখজনক। এখানে আইনের শাসন ভলুন টিত হচ্ছে।
এস আই আরাফাত জানান, উভয়ের পক্ষ কে নিভৃত করাই আমার কাজ। বাকিটা কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
হিজলা থানা ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(চলবে)