আপডেট: মে ৩১, ২০২৫
নাজিম এর বিরুদ্ধে লুটপাট, দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি। বরং তার দাপটে নিরীহ নাগরিকদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আত্মীয় পরিচয়ে মাসুক নাজিম আওয়ামী লীগের শাসনামলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। অথচ এই লুটপাটের বিরুদ্ধে তদন্ত তো দূরের কথা, বরং যাঁরা এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছেন, তারাই পড়েছেন রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মুখে।একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, মাসুক নাজিম তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি মিথ্যা সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তখনকার ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ইন্সপেক্টর মোঃ দাউদ হোসেন, যিনি বর্তমানে খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত।
ভুক্তভোগী জানান, “ওসি দাউদ হোসেন এবং তার সহকারী কমিশনার আমাকে মোবাইল ফোনে পরিবারের সম্মুখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন (মোবাইল স্পিকারে পরিবারের সবাই শোনেন এবং আতঙ্ক হয়ে পড়েন) এবং ঈদের দিন ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। এমনকি আমাদের ঈদের আনন্দ পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে আমি তৎকালীন ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন এবং আমি সেই হয়রানি থেকে মুক্তি পাই।”
তিনি আরও বলেন, “একজন ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিবাজ নেতার ইচ্ছায় একটি গোটা পুলিশ বাহিনী কীভাবে ব্যবহার করা যায়, আমি সেটার বাস্তব উদাহরণ। এখন সেই পুলিশ কর্মকর্তা আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
এই অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তারা বলছেন, প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে, সাধারণ মানুষ এমন হয়রানির শিকার হতেই থাকবে।
এদিকে খিলগাঁও থানার ওসি মোঃ দাউদ হোসেন এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য দেননি।