২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

আ’লীগ আ”লীগ যুদ্ধে রণক্ষেত্র। আ”লীগ বাঁচাতে নেতাদের  তদবির 

আপডেট: জুন ১৫, ২০২৫

বিজয় নিউজ : :  ভাতিজাকে ফাঁসাতে চাচার লংকা কান্ড।উভয় আ”লীগ দলীয় ক্যাডার। মামলার তদবিরে নেতাদের থানায় যাতায়াত, অতিষ্ঠ থানা ।

ইউনুস পুত্র কাসেম এবং সত্তার গাজী কন্যা রিপা। সম্পর্কে চাচাতো মামাতো ভাই বোন। পাশাপাশি বসবাস। ইউনুস পুত্রকে ফাসাতে ছাত্তার গাজী শনিবার রাতে নিজ ঘরে ডেকে এনে উপর্যুপরি আঘাত করে আহত করে। পুতা দিয়ে সমস্ত শরীর থাকলে দেয়। এমন অভিযোগ ইউনুস পরিবারের।

অপবাদ মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক। এ অজুহাতে  কাশেমকে পুতা দিয়ে সমস্ত শরীর থেতলে দেয় সত্তার গাজী,কবির গাজী, মমিন, রেজাউল গাজী, রিপা সহ একটি আ”লীগ সন্ত্রাসী গ্রুপ । রাতেই মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল সেবাচিমে প্রেরণ করে কাশেমকে।

আহমদ গাজী জানান, তার ছেলে কবিরকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে। ফাহরুখ খানের ভাগ্নে রেজাউল, তার উপস্থিতির কথা শুনেছেন। রিপার সাথে কাশেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায় ইউনূস এবং সত্তার গাজী একই পরিবারভুক্ত। একই বাড়িতে বসবাস। সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। বাড়ির জমি জমা নিয়ে বিরোধ। একে পুঁজি করে সত্তার গাজী ১৪ জুন রাতে ভাতিজা কাশেমকে নিজ ঘরে ডেকে আনে রিপাকে দিয়ে । উপর্যুপরি আঘাত করে একপর্যায়ে পুতা দিয়ে তার পুরো শরীর  থেতলে দেয়। রাতেই আহত কাসেম কে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করে। তার চাচা আনিস হাওলাদার জানান ভাতিজার অবস্থা গুরুতর। বিষয়টি হিজলা খানাকে অবহিত করা হয়েছে।

কে এই সত্তার গাজী : স্থানীয়ভাবে ত্রাস, আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল, বহু অকর্মের সাক্ষী এই সত্তার গাজী। এর আগে সেনা সদস্য সালাউদ্দিনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে থাকলে দেয়। এক বছর হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেন সালাউদ্দিন। আপন চাচতো ভাই মুসা গাজীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন এই সত্তার গাজী। স্থানীয় ভূমি দখলে প্রধান হাতিয়ার সাত্তার গাজী। চাঁদাবাজিতে তিনি একটু বেশি অগ্রগামী। তিনি পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত অপরাধী।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাশেমের বাবা আনিস হাওলাদার জানান, তার  ছেলে কাসেমকে ডেকে নেয় সাত্তার গাজী ও তার কন্যা রিপা । সরল মনে তিনি এই ঘরে যান। ঘরে নিয়ে দরজা আটকে একের পর এক আঘাত করে। একপর্যায়ে ছেলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার না রাখায় রাতেই বরিশালের প্রেরণ করা হয়।

মুসা গাজী জানান, সামনে কলেজ, কলেজের সামনে সেনা কেম্প। সেখানে এমন ঘটনা ঘটানো দুঃখজনক।

অভিযোগ করে বলেন, সাত্তার গাজী কন্যা রিপা ইতিমধ্যে তিনটি ছেলের জীবন ধ্বংস করেছেন। এখন তার ভাগনাকে টার্গেট করেছেন। রিপাকে নিয়ে এখনো মামলা চলমান। বিষয়টি স্থানীয়দের জানা। এটি সত্তার গাজীর মেয়ে এবং পিতার বাণিজ্য।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ঝন্টু ব্যাপারী জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সাত্তার গাজীর বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক। নিজ পরিবারে এমনটি হওয়ার কথা না।

হিজলা থানা ওসি তদন্ত জাহিদুল আলম  জানান, সত্তার গাজী এবং তার কন্যা রিপা বেগমকে থানায় রাখা হয়েছে।অভিযোগ পেলে  তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

246 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন