আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৫
মো: মনিরউল ইসলাম হাওলাদার :: ৩৬ বছর পর নিজ জমি থেকে উচ্ছেদ। তবে আইনিভাবে নয় পেশি শক্তির বলে জমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন পূর্ব গঙ্গাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারী। তিনি এখন প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ভুক্তভোগী মৃত আহমদ আলী বেপারীর পুত্র আব্দুল মান্নান বেপারী জানান, সরকারের বন্দোবস্ত মূলে ৮৮ -৮৯ সালে ১ একর ৭৬ শতাংশ জমির মালিক হন তার পরিবার। ওই সময় থেকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে জমি চাষাবাদ ও এক অংশে বসত ঘর তৈরি করে বাস করে আসছিলেন তারা। ৩৬ বছর পর উচ্ছেদ। দিন দুপুরে ঘর চুরি করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ।
৫ আগস্টের পর থেকে একটি মহল তাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র করে আসছিল। ২১ জুলাই ২০২৫ সালে প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিন বেপারী, তোফাজ্জল হোসেন বেপারী, মাইনুদ্দিন ঘরামি, সহ একটি গ্রুপ মন্নান বেপারীর বসত ঘরটি তুলে নিয়ে যায়। প্রায় তিন শতাধিক গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে কর্তৃপক্ষ গ্রুপটি।
ইতপুর্বে এই গ্রুপটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির চৌকিদারকে দিন দুপুরে উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে। যা এখনো হিজলা থানায় চলমান। বর্তমানে মন্নান বেপারী জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
একই অভিযোগ জমির মালিক হোসনে আরা বেগম এর তিনিও ৬৭ শতাংশ জমির মালিক, তাকেও উচ্ছেদ করে স্থানীয় গিয়াসউদ্দিন বেপারী, তোফাজ্জল হোসেন বেপারী, নিজাম বেপারী, মাহমুদা বেগম, বাবুল বেপারী, চান্দু বেপারী,তোফাজ্জল বেপারী, সহ ওই গ্রুপটি সম্পূর্ণ সম্পত্তি নিজ কব্জায় নিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির চৌকিদার জানান, এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে কোর্টে মামলায় মন্নান বেপারী রায় পেয়েছেন। ওই রায় মানতে নারাজ প্রতিপক্ষ। প্রতিবেশী আমির ঘর আমি জানান, উভয়ের জমি পাশাপাশি। কেউ কারো ছাড় দিচ্ছে না। মন্নান বেপারীর দখলীয় জমি থেকে প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিন বেপারী কিছু জমি দখল করে নিয়েছে। এ নিয়ে উভয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
হিজলা থানার এএসআই মো : মাহবুবুর রহমান জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন শেষে মন্নান বেপারী জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বিষয় তার জানা নেই।
প্রতিপক্ষ গিয়াসউদ্দিন বেপারীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি তোফাজ্জল ব্যাপারীকে। তার ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।