৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

গণ অভ্যুত্থানে মৃত্যু থেকে ফিরে আসা এক জুলাই যোদ্ধার গল্প

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫

বিজয় নিউজ  ঃঃ  মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার, বড়জালিয়া ইনিউয়নের বড়জালিয়া গ্রামের বাসিন্ধা । গেজেট ভুক্ত একজন জুলাই যুদ্ধা। গেজেট নম্বর ৫৪১, মেডিকেল কেস আইডি নম্বর  ৩০১৭২
পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গণঅভ্যুত্থানের সময় থাকতেন ঢাকা ফার্মগেইট পূর্ব রাজাবাজার এলাকায়।
১৬ জুলাই যে দিন আবু সাঈদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোনে পুলিশের গুলিতে মারা যান। সেদিন আর নিজেকে ঘরে ধরে রাখতে পারেনি তিনি । কারন এই কোটার কারণেই ২০১৯ সালে ও ২০২২ সালে “প্রাইমারী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ” “সাধারণ কোটায়” চূড়ান্ত রেজাল্ট এ অকৃতকার্য হন তিনি। যোগ দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।
রিয়াজের ভাষায়, ১৮ জুলাই সাড়া দেশে কম্পিলিট শার্ট ডাউন ঢাকা কাওরান বাজার এলাকায় আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্র লীগের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার গ্যাস, ফায়ারিং, রাবার বুলেট, গুলি। আন্দোলনকে ছত্র ভঙ্গ করতে চাইলে দৌড়ানো সময় পাইনি । ছাত্র লীগের এলোপাতাড়ি হক স্টিকের বাড়ি ডান গলায়  লাগে এবং ফুলে ওঠে , টিয়ার গ্যাসে চোখ ঝলসে  লাল হয়ে যায়।জ্বালাপোড়া করে ও ঝাপসা দেখতে পান তিনি । সেদিন অনেকের ই বুকে , পায়ে গুলি খেয়ে চোখ হারিয়ে  রাস্তায় কাতরাচ্ছিলেন।


মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে রিক্সায় করে ২ জন কে হাসপাতাল ও তিন জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেই । সে দিন আন্দোলনে হয়তো মৃত্যুর কাতারে  আমিও থাকতে পারতাম। আল্লাহ। আল্লাহ সহায় ছিলেন বিধায় সে যাত্রায় বেঁচে যাই।

পরবর্তীতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ দুই মাস ভর্তি থাকি। গণ অভ্যুত্থানে আহত বলে উন্নত খাবার, ফ্রী চিকিৎসা, কেবিন  ও অপারেশনের যাবতীয় খরচ সমূহ সম্পূর্ণ ফ্রি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে।  ৫ জন ডাক্তার দীর্ঘ দুই ঘণ্টা যাবৎ ডান গলায় সার্জারি করেন। এবং ৮ ইঞ্চি পরিমাণ সেলাই করেন ও দুই ব্যাগ রক্ত লাগে। বর্তমানে সেলাইয়ের জাগায় ব্যাথা হচ্ছে এবং ঘাড় গুড়াতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শোয়া থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় উঠতে পারছিনা । তার পক্ষে ভারী কোনো কাজ ও ভারী কোনো বোঝা মাথায় বহন করা সম্ভব না।
তিনি জানান, আজ আওয়ামি লীগ যদি ক্ষমতায় থাকতো, তা হলে অনেক জায়গাই মসজিদের আযান,ওয়াজ তাফসীর বন্ধ হয়ে যেতো। এবং দেশে খুন হত্যা ধর্ষণ বেড়েই চলতো। যারাই ইসলাম রক্ষার জন্য , শেখ হাসিনা পতনের জন্য ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারাই একটি জিহাদ করেছেন। যেমনি ভাবে রাসূল (সাঃ) বদর যুদ্ধ ও ওহুদ যুদ্ধ করেছিলেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন