আপডেট: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ফেরিতে ইজারা বাতিল হলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ফেরিতে যাএী পরিবহন থেকে অধশত লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। ফেরি পরিচালনায় দেখার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও স্থানীয় ১০ জন অতিরিক্ত লোকজনকে দায়িত্বে বসানো হয়েছে। তারা সিন্ডিকেট করে বকশিশ নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসে। ফেরিতে দায়িত্বে থাকা কর্মচারিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ার্ক সুপারভাইজার এনামুল,, এবং শ্রমিক সাব্বির। আর বকশিশ নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়কারী শাহীন, বাদল রফিক, কাইয়ুম, নুরুজ্জামান, রাকিব, কবির, জাফর, জুলহাস, সালেহ ও শাহ আলম।
সারোজমিনে প্রতিদিন গড়ে একশত থেকে একশত ৩০ টি গাড়ি যাএী পরিবহন থেকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা করে আদায় হচ্ছে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টি ট্রাক থেকে গড়ে ৫০ টাকা করে আদায় হয় ৩ হাজার ৩৫০০ টাকা। মিনিবাস, পিকআপ, কভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অটো ও টমটমসহ সব মিলে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩ ০ হাজার টাকা আদায় করে।
পরিবহনের নির্ধারিত টোলের বাহিরে ৩০ থেকে ৫০ টাকা অতিরিক্ত টাকা নেয়ায় অতিষ্ঠ পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজাররা। এই বিসয় বাউফল-ঢাকা রুটের পরিবহন সুপারভাইজার কবির অভিযোগ করে বলেন বকশিশ না দিলে ফেরীর লোকজনের হাতে নাজেহাল হতে হয় এমনকি গাড়ি ফেরীতে উঠতে দেয়া হয় না। যদি বকশিশের টাকা দেয়া হয় তাহলে উঠতে দেয়া হয়। অন্য এক গাড়ির চালক সাইফুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে ফেরীতে ওঠলেই বকশিশ আদায়কারী শ্রমিকরা গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে বকশিশ চায় । অতিরিক্ত ৫০টাকা দিতে না চাইলে ত/ ৪ জন মাড়তে তেড়ে আসে। নাজেহালের ভয়ে দূরদূরান্তের গাড়ী চালকরা তাদের দাবিকৃত বকশিশ দিতে বাধ্য হন। একই অভিযোগ স্থানীয় মোটরসাইকেল ও অটো চালকদের । প্রতিটি মোটর সাইকেলে অটোর সরকারি ভাড়া নির্ধারণ করা ৫ টাকা কিন্তু ১০/২০ টাকা হারে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
এলাকাবাসীর জামাল উদ্দিন জানান, সরকারি নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে ফেরী ঘাটের লোকজনকে। সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে হলেও সরকারে নজর দেয়া দরকার।
পটুয়াখালী সওজ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জামিল হোসেন বলেন আমাদের সওজ ফেরী বিভাগ তেকে ৪ জন দেয়া হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে স্থানীয় ৫/৭ জন লোক দিয়ে টোল আদায় করানো হয়। সরকারি নির্ধারিত ফেরী ভাড়ার চাট দেয়া আছে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।