আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫
ফকির সাইফুল ইসলাম ঃঃ হিজলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে কারেন্ট জাল। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা এই ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। হিজলায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে কারেন্ট জাল। শতভাগ জেলে নৌকায় কারেন্ট জাল।
হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদির একতা বাজার, কাঁকুড়িয়া বাজার, জনতা বাজার, মেমানিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট, বাংলাবাজার, মৌলভীরহাট, হরিনাথপুর ইউনিয়ন এবং মেয়েমানিয়া ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী একটি হাট ছয়গাঁও বাজার। এ বাজারটি দুই ইউনিয়ান কারেন্ট জল বিক্রি করছে ভাগাভাগি করে। এর লভ্যাংশ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন। মাস গেলেই টাকা গুনে দিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে স্থানীয় নেতা, পাতিনেতা সহ একাধিক ব্যক্তি।
একাধিক জেলে এবং ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঝে মাঝে প্রশাসন হানা দিচ্ছে লোক দেখানোর জন্য। মূলতপক্ষে এদের একটি অংশ মাসোহারা নিচ্ছে এখান থেকে। এখন মা ইলিশ রক্ষার সময়। এখানে টনে টনে কারেন্ট জাল চলে আসছে মুন্সিগঞ্জ থেকে। প্রশাসনের জানা থাকলেও সেখানে হাত দিচ্ছে না।
তাদের অভিযোগ প্রভাবশালী একটি মহল এ ব্যবসাটি নিয়ন্ত্রণ করছে। কেউবা মুদি ব্যবসার আড়ালে, কেউবা কাপড়ের ব্যবসার আড়ালে, কেউবা ঔষধের ফার্মেসির আড়ালে, কেউবা কসমেটিক দোকানের আড়ালে, কেউবা ইটের ব্যবসার আড়ালে, কেউবা দলীয় ব্যবসার অন্তরালে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর এর যৌথ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াস সিকদার এর নেতৃত্বে বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়ন এর ডিক্রির চর ছয়গার হাটে ইউনুস মুন্সির কসমেটিকের আড়ালে জালের দোকানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৬০ পাউন্ড ৪৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এর ফোনে কল দিলে রিসিভ করেননি। তবে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীকে আটক বা মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি।