আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৫
আপডেট:
স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ আনোয়ার হোসেন গ্রেড-১ প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মন্ত্রণালয় প্রস্তাব নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অন্যদিকে এলজিইডি শীর্ষ পদ সহ কয়েকশো পদ দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় এলজিইডির সামগ্রিক কর্মকান্ডে অচল অবস্থা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
তিনি রুটির দায়িত্ব পালনের নামে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক ও তার ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট নথিপত্র ব্যতীত কোন ফাইল সই করছে না বলে অভিযোগে প্রকাশ। এতে করে এলজিইডির সামগ্রিক কর্মকান্ডে একটি স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলের প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা ও তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপু সাথে দহরম মহরম সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের শাসন আমলে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ চরিতার্থ করেছেন বলে গুঞ্জন আছে।
তিনি ঢাকা জেলার সহকারী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ ভাগ বাটোয়ারার সিন্ডিকেট প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে পিরোজপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব থাকাকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবদুল আউয়ালের সাথে গভীর সখ্যতা ও ঠিকাদারি কাজ বন্টনের সহায়তা করে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিরোজপুরের নজিরবিহীন প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট কারি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর খ্যাত মহারাজ মিরাজের উত্থান তার দায়িত্ব পালন কালীন সময় থেকে বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন।সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ আনোয়ার হোসেন তার পদোন্নতি এবং গ্রেড পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয় তদবির করে নিজের গ্রেড -৩ পরিবর্তন করে গ্রেড-২ হয়েছেন এবং গ্রেড-১ প্রস্তাবের ফাইল মন্ত্রণালয় চলমান রয়েছে ।
অথচ অতিরিক্ত প্রদান প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ করিম গ্রেড-৩ থেকে গ্রেট-২ উন্নতি হওয়ার কথা থাকলে ও অদৃশ্য কারণে মো:জাবেদ করিম গ্রেড-২ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীদের পদোন্নতির ফাইল মন্ত্রণালয় মাসের পর মাস আটকে আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সুরাহার কোন পদক্ষেপ নেই বলে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অথচ প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেনের পদোন্নতি ফাইল অদৃশ্য শক্তির ইশারায় পাশ হয়ে যাচ্ছেন এবং দীর্ঘদিন প্রতীক্ষার পর সম্প্রতি ৪ জন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ নিশ্চিত হয়েছেন। সামগ্রিক বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো:আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।